অসুস্থ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। সোমবার রাতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন শেক্সপিয়র সরণির বেসরকারি হাসপাতালে। তিনদিন ধরে জ্বর রয়েছে তাঁর শরীরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞর অধীনে কেবিনে চিকিৎসাধীন বিমান বসু। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। কোনও সংক্রমণ থেকে জ্বর কি না, মঙ্গলবার তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “জ্বর না কমায় বিমানদাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার কিছু শারীরিক পরীক্ষা হবে। দুপুরে ডাক্তারেরা দেখবেন। তার পর কী ভাবে চিকিৎসা এগোবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, গতকাল রাত ৯ টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিমান বসুকে। জানা গিয়েছে, রাতে ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে অসুস্থ বোধ করেন সিপিআইএম নেতা। জানা গিয়েছে, প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হননি এই প্রবীণ নেতা। আলিমুদ্দিনে থেকেই তিনি চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। পরে দলের অন্যান্য প্রবীণ নেতারা তাঁকে বুঝিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘আপাতত বিমান বসুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কয়েকজন তাঁকে গিয়ে দেখে এসেছেন।’ মহম্মদ সেলিম বলেন, “বিমানদার বয়স হয়েছে৷ তার মধ্যে দলীয় কাজে জেলা সফরে গিয়েছিলেন ৷ সেই কারণেই হয়তো ঠান্ডা লেগেছে৷ কিন্তু, আজ তাঁর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানো হবে৷ ঠান্ডা লেগেই জ্বর নাকি অন্য কোনও কারণে, তা রিপোর্ট এলেই জানা যাবে। এখন ঠিক আছেন৷ বয়সটাও তো হয়েছে৷ আমার নিজেরই বয়স ৬৫ বছর৷ তাতেই ছোটাছুটি করতে সমস্যা হয় ৷ অথচ, ৮৫ বছর বয়সেও একটা লোক এখনও মিছিলে হাঁটেন ৷ মাইকে বক্তৃতা করেন৷ নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ দেন৷ ত্যাগ আর বামপন্থার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এটা করতে পারতেন না ৷ সেই কারণেই এখনও জেলায় কর্মসূচিতে যান ৷”
আর জি কর কাণ্ডে সরাসরি গর্জে উঠেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের এনকাউন্টারের নিদান দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু এই বিষয়ে...
Read more
Discussion about this post