গুজরাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তৈরির সময়েই ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য নির্মীয়মান সেতু। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যে গুজরাতের আনন্দে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গুজরাটের আনন্দে মাহি নদীর কাছেই ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ ওই রেল সেতুর একাংশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জরুরি প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই আনন্দ পুলিশ ও দমকল কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন। শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। বহু মানুষের হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড জানিয়েছে, “আজ সন্ধ্যায় মাহি নদীর উপরে, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের নির্মাণস্থলে কংক্রিটের ব্লকের মধ্যে তিনজন শ্রমিক আটকে পড়েন। ক্রেন ও এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া লোকজনদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দুই শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আরও এক শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” এবার সেই ঘটনার পরেই আসরে নেমে পড়ল তৃণমূল। কার্যত কলকাতার পোস্তার সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনাকে টেনে নিয়ে এসেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। লক্ষ্য একটাই খোঁচা দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। দেবাংশু লিখেছেন, ‘গুজরাটের আনন্দে ভেঙ্গে পড়ল বুলেট ট্রেনের জন্য নির্মীয়মান সেতু। বহু লোকের চাপা পড়ার আশঙ্কা। ২০১৬ সালে কলকাতার পোস্তায় যখন উড়ালপুল ভেঙে পড়েছিল নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী সভা করতে এসে বলেছিলেন, “এটা অ্যাক্ট অফ গড নয়। অ্যাক্ট অফ ফ্রড..”..
আজও একই কথা বলবেন তো প্রধানমন্ত্রী?’ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এরপরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
Discussion about this post