বাড়ির দোতলা নির্মাণ নিয়েই ঝামেলা, প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ। জল গড়িয়েছিল আদালতে। পরবর্তীতে দুপক্ষ মীমাংসা করে কাজে হাতে দেন। তাতেই সমস্যার শুরু। পুলিশকে টাকা না দিয়ে কেন কাজ শুরু? কার্যত এই অপরাধেই বাড়ির মালিককে থানায় আটকে রাখা ও ১ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ। চলে মারধরও। অবশেষে দিদিকে বলো-তে ফোন করে বিষয়টি জানান ওই ব্যক্তির স্ত্রী। তাঁর স্ত্রীর দাবি, স্বামী বিষয়টির শেষ দেখে ছাড়তে ফোন করেন ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন নম্বরে। সেখানে অভিযোগ জানান। কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুল এই কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। নবান্নের নির্দেশে তদন্ত করতে শুরু করেন এসডিপিও। বাড়ির মালিক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ওসি ১ লক্ষ টাকা চাইলে আমি বলি এত টাকা দিতে পারব না৷ তখন বড়বাবু ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন৷ সেটাও দিতে পারব না বলি ৷ তখন ২০ হাজার টাকায় রফা হয়৷ তারমধ্যে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি৷ বাকি টাকা দিতে পারিনি৷ তাই আমাকে তুলে নিয়ে এসে সারারাত লকআপে রাখেন৷ মারধর করে৷ আমার স্ত্রী দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছেন।” স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করছিল। সারারাত আটকে রেখেছিল৷ কোনও উপায় না দেখে আমি দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ করেছি ৷ আমি চাই দিদি বিষয়টি দেখুন। সমাধান করে দিন।’’ অভিযুক্ত ওসি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছিলেন বলে ডেকেছিলাম৷ পুলিশ তুলে নিয়ে এসেছে বলে ওঁর গায়ে লেগেছে। তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তবে যেহেতু অভিযোগ করেছে তাই তদন্ত হচ্ছে।’’
রাজ্য জুড়েই এখন শীতের আমেজ। হালকা শীতের আমেজ থাকবে সপ্তাহ জুড়ে, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। শান্তিনিকেতন ও পুরুলিয়ায় ১৩ডিগ্রি সেলসিয়াসের...
Read more
Discussion about this post