চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি-সহ একাধিক ইস্যুতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। এই আবহে মারণাস্ত্র লুকোতে পদ্মাপাড়ে মিসাইল সিটি গড়ার উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের। এ নিয়ে তুরস্কের একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলে সূত্রের খবর। তিন দিকে ভারত। একপাশে একফালি মায়মানার। আর বঙ্গোপসাগর। সেই সমুদ্র সীমান্তেও আছে ভারত ও মায়ানমার। এই দুটি দেশের সাথেই স্থল, আকাশ ও জল সীমান্তে ঘেরা বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান সামরিক ও কূটনৈতিক কৌশলগত দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব পায় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের কাছে। এমনই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মিসাইল ক্ষমতা নিয়ে চলছে বিস্তর চর্চা। বাংলাদেশের এই মিসাইল পাল্লায় ভারতের কোন কোন শহর পড়ছে? প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন চিন ও তুরস্ক থেকে কেনা মিসাইলগুলি সর্বাধিক ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সীমান্ত লাগোয়া কোনো এলাকা থেকে বাংলাদেশি মিসাইলের পাল্লায় কলকাতা, আগরতলার মতো শহর থাকছে। বাংলাদেশ সীমান্তের ভারতীয় রাজ্যগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম। আর মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের বাহিনী মজুত থাকে। বাংলাদেশকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার তুরস্কের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সরঞ্জাম কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।আংকারায় চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান ও ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে সরকারের যে পরিকল্পনা, তার অংশ হিসেবে তুরস্কের সরকারি কোম্পানি রকেটসানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। রকেটসান স্থল, সুমদ্র ও আকাশে ব্যবহারযোগ্য ন্যাটোর মানদণ্ড অনুযায়ী অস্ত্র তৈরি করে থাকে। তুরস্ক ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ডেমির চুক্তি সইয়ের পর এক টুইটবার্তার বলেন, ‘রকেটসান থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম রফতানির জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। থেমো না, এগিয়ে যাও।’ এ বিষয়ে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান বলেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কোভিড সময়েও প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে দুই দেশের মধ্যে, যা যেকোনও মানদণ্ডে ভালো বলা যায়।’ এদিকে সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা এবং মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ এবং তুরস্ক একসাথে কাজ করতে রাজি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, এই সমঝোতা চুক্তির অধীনে মূলত বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে তুরস্ক। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস দমন এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশ পরস্পরের সঙ্গে নিরাপত্তা তথ্য বিনিময় করবে। প্রসঙ্গত, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবে পরিচিত। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে সেদেশের সামরিক বাহিনীতে মানববিহীন ড্রোন সহ অন্তত ২৩ ধরণের নতুন আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে। তবে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে বসেই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এইসব ক্ষেপণাস্ত্র। সেদিক থেকে বাংলাদেশের মিসাইল ভান্ডার কতটা সমৃদ্ধ? বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে চিন ও তুরস্ক সহ ১২টি দেশ থেকে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করেছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য ১১ ধরণের, নৌবাহিনীর জন্য ৮ এবং বিমান বাহিনীর জন্য ৪ ধরণের যুদ্ধ সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশজুড়ে চলতি বছরের আগস্টসহ বিভিন্ন সময়ে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর ওপর সহিংসতার খবর দেখেছে ভারত সরকার। তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে চুরির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। এসব ঘটনার পর বিশেষ নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post