বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের এখন ভবিষ্যৎ কি! তিনি কি করছেন? তার অবস্থান এখন ঠিক কি! সেই নিয়ে নানা মহলে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। এই নিয়ে দ্যা গার্ডিয়ানে প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রতিবেদন।
দ্যা গার্ডিয়ানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোহাম্মদ ইউনুস সম্মানিত ব্যক্তি হলেও তার শাসনকাল নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন। এমনকি বলা হচ্ছে, তার শাসনকালে বেড়ে উঠেছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা রাজপথে হাঁটলে মনে হয় না, দেশ স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ চূড়ান্ত ব্যর্থ মোহম্মদ ইউনূসের শাসনকাল।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউনূসের তেমন কোনও ভালো সম্পর্ক নেই, যেটা জো বাইডেনের সঙ্গে ছিল। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, যা জানে গোটা বিশ্ব। এদিকে ভারতের সঙ্গে ফার্টব্য বাড়াতে চাইছে ইউনুস। ফলে ভারত, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে চাইছে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প মোদির ওপরে ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বিষয়টি। এখন দেখা আর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোই। এবং ভারত কি পদক্ষেপ করে।
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখলে বোঝা যায়, গোটা বিশ্ব দরবারের বাংলাদেশের অবস্থান ঠিক কি।
বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি একই হয়ে রয়েছে মোহাম্মদ ইউনূসের দেশে। আর এরমধ্যেই মার্চ ফর খিলাফতের ডাক হিজবুত তাহরীর। ঢাকা দখল করতে চায় এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠী। আসলে বাংলাদেশে খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে তারা। শুক্রবার ঢাকার রাজপথে দেখা গেল শয়ে শয়ে মৌলবাদীকে মিছিল করতে। বাংলাদেশ কিভাবে সন্ত্রাসী দেশে পরিণত হচ্ছে, তার বড় প্রমাণ এদিন। যদিও এই সংগঠনটির মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিস। রণক্ষেত্র হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার আমলে হিজবুত তাহেরী কোনভাবেই বেড়ে উঠতে পারেনি। হাসিনার সরকার তা করতে দেয়নি। কিন্তু এখন গোটা দেশে চলছে নৈরাজ্য। ইউনূসের আমলে গোটা বাংলাদেসে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী গুলি মাথা চারা দিচ্ছে। আর এর সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে।
খবর রয়েছে, মার্চ ফর খিলাফত কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হিজবুত তাহেরি। আর তারপরই শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ঢাকার রাজপথে মিছিল বের করে কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা। পরিস্থিতির আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে রাজপথে নামে পুলিশ। ছোড়ে কাঁদানে গ্যাস। পুলিশের সঙ্গে হিজবুত তাহেরীর সদস্যদের ধস্তাধস্তি দেখা যায়। এরপর লাঠিপেটা শুরু হলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। কিছুক্ষণের জন্য মিছিলের অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন দেখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। তবে কিছুক্ষণ পর আবারো তারা সংঘটিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
পরে অবশ্য পুলিশ গ্রেনেড ছুড়লে আবারও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিলটি। খবর রয়েছে, বেশ কয়েকজন হিজবুত জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এই জঙ্গি সংগঠন কে বাড়তে দিয়েছে মোহাম্মদ ইউনূসই। তারা সংগঠন মজবুত করছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে তাদের কট্টরপন্থী দল। মৌলবাদীদের বারবাড়ন্ত যখন ইউনুসের জামানায় হচ্ছে, তখন তাদেরই পুলিশ আটকে আর কি করবে? উঠছে প্রশ্ন। গোটা বাংলাদেশে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে স্থায়ী সরকার অত্যন্ত প্রয়োজন, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি চলছে সরকারের ভিতরে। জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ হতেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এই দল যে গঠিত হবে সেটা জানতেন মোহাম্মদ ইউনুস। তার মদতেই এই দল গঠিত হয়েছে। এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন এই জল্পনাও ছড়িয়েছে যে, যতদিন না এই নতুন দল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন হয়ে উঠছে, ততদিন নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আর সেটা হলে অত্যন্ত ভয়ংকর দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
হিজবুত তাহেরির মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি মোহাম্মদ ইউনূসের আমলে বেড়ে উঠতেই তারা যেভাবে সংগঠন মজবুত করছে, তাতে পড়তে হবে বাংলাদেশের সরকারকে। এখন দেখার, মহুমিদ ইউনূস সেটা বুঝতে পারেন কিনা!
Discussion about this post