বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্যাগ করার ছয় বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সাথে প্রথম বৈঠক করলেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। লক্ষ্য এক, হিন্দু ঐক্য। রবিবার এই লক্ষ্যেই আরএসএসের সদর দপ্তরে মোহন ভাগবতের সাথে বিস্তৃত বৈঠক করলেন তোগাড়িয়া। গুজরাটের আহমেদাবাদের একজন ক্যান্সার সার্জন এবং প্রাক্তন স্বয়ং সেবক তোগাড়িয়া ২০১৮ সালে ভিএইচপির আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ ছাড়েন। তার আগে পর্যন্ত ৩৫ বছর তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাথে ছিলেন। ভারতে বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রবীণ তোগাড়িয়ার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার দরুণ তিনি ভিএইচপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যায়। নরেন্দ্র মোদির একজন প্রকাশ্য সমালোচক, তোগারিয়া আরএসএস ত্যাগ করার পর অন্তরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর তাঁকে সেই অর্থে খবরের শিরোনামে দেখা যায়নি। এই দিন আলোচনা প্রসঙ্গে দুই ‘হিন্দু নেতৃত্ব’ হিন্দুত্ব, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। একসাথে কাজ করার বার্তা দিলেন উভয়েই। সাথে তোগাড়িয়া নির্দিষ্ট করে বললেন, হিন্দু ঐক্যের বিষয়ে “কাউকে রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাস করা যাবে না”, এবং “এটি সর্বদা পরীক্ষনীয়”। এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে তোগাড়িয়া জানান, “আরএসএস প্রধান এবং আমি দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে দেখা করার সময় হয়েছে, তাই আমরা দশেরার দিন নাগপুরে দেখা করেছি। আমাদের বৈঠকটি কোনও মধ্যস্থতাকারী বা রাজনৈতিক এজেন্ডা দ্বারা প্ররোচিত হয়নি। আরএসএস এবং আমি আমাদের আলোচনার সময় হিন্দুত্ব, বিশেষ করে বাংলাদেশের হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছি।” তোগাড়িয়ার মতে রাম মন্দির নির্মাণ হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য ভাবনা এনেছে, যারা আগে বর্ণের ভিত্তিতে বিভক্ত ছিল। তার জন্য আরএসএসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। যদিও ‘রাজনৈতিক অবিশ্বাস’-এর প্রসঙ্গে একটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তোগাড়িয়ার বার্তায় মোদি বিরোধীতার ছাপ এখনও স্পষ্ট। সুতরাং নিঃশর্ত ঐক্যের প্রশ্ন এখানে আসছে না। এদিকে সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে নরেন্দ্র মোদির কার্যকলাপের বিরোধীতা করেছেন ভাগবত। কিছু জায়গায় বিজেপির উপর কর্তৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে একাধিক নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এখন প্রশ্ন তাহলে কি আরএসএস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এজেন্ডায় যে চুলপ্রমাণ চিঁড় আঁচ করা গিয়েছিল তা স্পষ্ট করে সামনে এল? এমন জল্পনা উঠছেই।
বাণিজ্য থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শিল্প, সব ক্ষেত্রেই এখন পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী হতে চাইছে বাংলাদেশের ইউনূস বাহিনী। এবার সামরিক ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের...
Read more
Discussion about this post