শিবসেনা বিধায়ক সঞ্জয় গায়কোয়ারের বক্তব্যকে ঘিরে এবার তুমুল বিতর্ক ছড়িয়েছে। তিনি জানিয়েছে রাহুল গান্ধীর জিহ্বা কেটে নিতে পারলে তিনি ১১ লাখ টাকা দেবেন। সংরক্ষণ সিস্টেমকে বাতিল করা সংক্রান্ত ব্যাপারে রাহুল গান্ধী যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিয়েই বলতে গিয়ে শিবসেনা বিধায়ক এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। আমেরিকা সফরে গিয়ে রাহুল গান্ধীর ‘সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত মন্তব্যের পালটা আক্রমণ শানিয়ে এমনই পরামর্শ দিলেন গায়কোয়াড়। যদিও শরিক দলের বিধায়কের এমন মন্তব্যকে বিজেপি সমর্থন করছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। রাহুল গান্ধীকে দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু। পাশাপাশি এও বলেন, তাঁকে ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা উচিত।
তারপর বিজেপির মুখপাত্র থেকে শুরু করে একাধিক নেতা কটাক্ষ করতে শুরু করেন রাহুলকে। এবার দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করল কংগ্রেস। দিল্লি পুলিশের কাছে পাঠানো চিঠিতে কংগ্রেস জানিয়েছে, একাধিক বিজেপি ও এনডিএ শরিকের নেতা রাহুল গান্ধীকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। রেল প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী রঘুরাজ সিং, তরবিন্দর সিং মারওয়াহ, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় গাইকোয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস।এই বিষয়ে লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত আপত্তিকর, হিংসাত্মক বিবৃতি নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়ে বিচার চাইলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে খাড়গে বলেছেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি এবং আপনার জোটের নেতারা যে ‘হিংসাত্মক ভাষা’ ব্যবহার করেছেন তা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক।”
এদিকে এই মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনের কাছে এন্টালিতে সিআইটি রোডের মোড়ে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, মহারাষ্ট্রের বিজেপি ও শিবসেনা সরকারকে ওই বিধায়ককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিক্ষোভে ছিলেন মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুমন পাল, সৌরভ প্রসাদ, শাহিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
Discussion about this post