মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রনে সাড়া জুনিয়র ডাক্তারদের। তিনটি শর্ত মেনেই হবে বৈঠক। ইতিমধ্যেই কালীঘাটে পৌঁছেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মূলত পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথম দাবি, নির্যাতিতার বিচার। যদিও ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, এটি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয় নয়। তাঁরা চান সিবিআই-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলি যাতে দ্রুত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করে।দ্বিতীয় দাবি, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার অপসারণ।তৃতীয় দাবি, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ এবং ডিসি নর্থ ও ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। চতুর্থ দাবি, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। পঞ্চম দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের উপর ভীতি প্রদর্শনের সংস্কৃতি দূর করা। তবে আজকের বৈঠকে লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে না। সোমবারের বৈঠকের জন্য সকাল ১১ টা ৪৮ মিনিটে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত যে মেল করেছেন, তাতে স্পষ্টভাবেই বলে দেওয়া হয় যে লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে না আজকের বৈঠকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কালীঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
প্রায় ৬ টা নাগাদ কালীঘাটে পৌঁছে যায় চিকিৎসকদের বাস।মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চিকিৎসকদের সঙ্গে দুই পেশাদার স্টেনোগ্রাফারকে প্রবেশেরও অনুমতি দেওয়া হয়। মূলত আন্দোলনকারীদের সঙ্গেই এসেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার পূর্বে জুনিয়র ডাক্তারদের চেক করে নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘড়ির কাঁটায় সাতটা বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। এদিনের বৈঠক শেষে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক এবং কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে পদে রাখা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬ টা ৪০ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়। তারপর ২ ঘণ্টা এই বৈঠক চলেছে।সূত্রের খবর, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা যে দাবি তুলেছেন, তা মেনে নিয়েছে রাজ্য। মোট পাঁচ দফা দাবি রেখেছেন আন্দোলনকারীরা
Discussion about this post