শেষ হল দ্বিতীয় দফার ভোট। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বাংলার তিন কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৭১.৮৪ শতাংশ। কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এলেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। জানাল কমিশন। রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোট মিটল রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও দার্জিলিংএ। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ভোট দানের হার ৭১.৮৪ শতাংশ। রাজ্য, বহির্রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে দেশে মোট ৮৮ আসনে ভোটগ্রহন হয় এদিন। ভূপেশ বাঘেল, শশী থারুর, রাহুল গান্ধির মত হাইপ্রোফাইল নেতাদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল শুক্রবার। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু অশান্তির খবর এলেও মোটের উপর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় দ্বিতীয় দফার নির্বাচন প্রক্রিয়া।
৩ জেলার ভোট তথ্য
মোট ভোটার – ৫১ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৫৫
মোট নতুন ভোটার- ৯১ হাজার ২৩৫ জন
মোট প্রার্থী- ৪৭ জন
মোট পোলিং পার্সোনাল- ২৬ হাজার ৪৯০ জন
মোট কেন্দ্রীয়বাহিনী- ২৭২ কোম্পানি
রাজ্য পুলিশ- ১১ হাজার ২১৮
দার্জিলিং ও বালুরঘাটে বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির সৃষ্টি হয় দ্বিতীয় দফায়। দার্জিলিং এর টিকিয়াপাড়া ও শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় বিক্ষোভের সম্মুখীন হন রাজু বিস্তা। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে। অশান্তি, নানা ঝুট ঝামেলার শেষে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত তিন কেন্দ্রে ভোটের পারসেন্টেজ জানাল কমিশন।
তিন কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোট (বিকেল ৫ টা পর্যন্ত)
দার্জিলিং – 71.41 শতাংশ
রায়গঞ্জ- 71.57 শতাংশ
বালুরঘাট- 72.30 শতাংশ
তবে পরিসংখ্যান বলছে ২০১৯ এ তিনটি কেন্দ্রেই শতাংশের বিচারে বেশি ভোট পড়েছিল। এদিন সেই তথ্য তুলে ধরল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি কোন জেলা থেকে কত অভিযোগ এসেছে সেই পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়।
ভোটের সকালে বেশ কিছু জায়গা থেকে ইভিএম বিভ্রাটের খবর আসে। কোথাও কোথাও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া। যা প্রথম দফার ভোটে অমিল। গত লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ, দার্জিলিং ও বালুরঘাটে তিনটি কেন্দ্রেই পদ্মে আস্থা রেখেছিল জেলাবাসী। চলতি নির্বাচনে পাহাড় ও সংলগ্ন অঞ্চলে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া তৃণমূল। এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে কোনঠাসা রাজ্যের শাসকদল। সেই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের মানুষ কি ভরসা দেখানোর সাহস করবে ঘাসফুল শিবিরে? জবাব দেবে ৪ ঠা জুন।
Discussion about this post