পালিয়ে বিয়ে করে বৌ নিয়ে বাইকে করে আসার দৃশ্য সিনেমায় তো অনেক দেখেছেন।কিন্তু সত্যি সত্যি বাইকে করে নবদম্পতিকে যেতে দেখেছেন কখনো।এবার বাস্তবেও তাই করে দেখাল এই যুবক।প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন সুমন মন্ডল নামে এক যুবক।আর তারপর বরবধূ বেশে বাইকে করে বাড়ি ফেরেন নবদম্পতি।বেনারসি শাড়ি, টোপর মালা পরে বড়ের বাইকে চেপে শশুরবাড়ি গেল অর্চনা।।হিঙ্গলগঞ্জ থানার সাহেবখালি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সুমন মন্ডল।আর হেমনগর থানার যোগেশগঞ্জে থাকত অর্চনা কয়াল।দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক সুমন অর্চনার।অবশেষে পরিণতি পেল ওদের ভালোবাসা।
কয়েক বছর ধরে প্রেম করছে সুমন অর্চনা।বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় দুজনে,এদিকে পরিবার তাদের সম্পর্ক মানতে নারাজ।ওদিকে সুমন অর্চনা ও নাছোড়বান্দা।তাই ‘ মিয়া বিবি রাজি তো ক্যা করেগা কাজি’।সুমনের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালায় অর্চনা।বন্ধুবান্ধব দের সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করে নেয় দুজনে।
বসিরহাটের মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে সুমন অর্চনার চারহাত এক হল।বিয়ে করার পর বৌ নিয়ে বাড়ি ফেরার পালা।কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই যখন পালিয়ে বিয়ে,তাই বৌকে নিয়ে কিভাবে ফিরবে সুমন তা ঠিক ছিলোনা।তাতে কি হয়েছে সুমনের কাছে ছিল বাইক।তাই নতুন বৌকে বাইকে করে নিয়েই বাড়ি ফিরল সুমন।বিয়ের সাজে বর বৌকেএভাবে বাইকে করে রাস্তা দিয়ে যেতে দেখে পথচলতিরাও অবাক।বর বউকে দেখতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লেন স্থানীয়রা।তাদের মুখের হাসি দেখে বোঝা যাচ্ছিল বেশ উপভোগ করছেন এই বিষয়টা। বাইকে করে বৌকে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে সুমন বলেন, ” সবাই তো গাড়িতে করে বিয়ে করতে যায়। আমার ইচ্ছা ছিল নিজের কেনা বাইকে করে বিয়ে করে বৌ কে নিয়ে যাবো বাড়ি। তবে দুই বাড়িতে কেউ মেনে নিচ্ছিলো বিয়ে। আশা করি এবার দুই বাড়ি থেকে বিয়ে মেনে নিতে বাধ্য হবে। আমরা ভালো থাকবো। ” অপরদিকে নববধূ অর্চনা বলেন, “আমাদের কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক। কিন্তু বাড়ি থেকে আমাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই পালিয়ে বিয়ে করলাম। বাবা মা কথা ভেবে খারাপ লাগছে। বাইকে করে বিয়ে করে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত স্বামীর।” তবে পালিয়ে বিয়ে আবার,বাইকে করে নবদম্পতির ঘরে ফেরা এই বিয়েকে আরো স্বরণীয় করে রাখবে।
Discussion about this post