শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। বাংলাদেশের নাগরিকদের মানবাধিকার, ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে বেশ কয়েকবার নিজেদের মতামত দিয়েছে দেশটি। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারত ও দেশটির বেশিরভাগ মিডিয়ার অভিযোগ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেছেন এক ভারতীয় সংবাদিক। মূলত, ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাধা, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন ওই ভারতীয় সাংবাদিক। জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করতে চান না, তবে যুক্তরাষ্ট্র ইউনূস সরকারের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে এবং কোনোভাবেই চায় না সরকার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সহিংস দমন-পীড়ন চালাক। বিশ্বের সব দেশের কাছেই তারা এই বার্তা দিয়ে থাকেন বলেও জানান মিলার। এরপরই বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন ওই ভারতীয় সাংবাদিক। জবাবে মিলার জানান, তিনি প্রশ্নটি আমলে নিচ্ছেন এবং এ বিষয়ে তাদের কিছু বলার আছে কিনা তা পরে জানাবেন। যদিও বাংলাদেশী হিন্দুদের আক্রমণের ঘটনায় সম্প্রতি মূহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছিলেন সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনাকে ‘অতিরঞ্জিত’ করে দেখানো হচ্ছে৷ ভারতের উদ্বেগের উত্তরে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস৷ তাঁর দাবি, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে ঠিকই ৷ তবে যেভাবে বিষয়টি দেখানো হয়েছে, তা ঠিক নয়৷ উদ্বেগ প্রকাশ করে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি জানিয়েছিল ভারত৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনুসের দাবি, “অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে যে পরিস্থিতি ছিল, তা এখন নিয়ন্ত্রিত৷ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ তবে বেশিরভাগ ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে৷ শুধু সংখ্যালঘু নয়, দেশের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টিকে অতিরঞ্জির সঙ্গে পরিবেশন করা হচ্ছে৷” উল্লেখ্য, গণআন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে৷ এরপর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার৷ অভিযোগ, তারপর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে৷ সংখ্যালঘুদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে৷ একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সারা বিশ্ব৷
বাংলাদেশের তরফে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে এত মন্তব্য। ভারত সে তার পরিপ্রেক্ষিতে চুপ করে বসে থাকবে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারত...
Read more
Discussion about this post