স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নতুন পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা দেশের স্থিতিশীলতাকে ক্ষুন্ন করছে, এ কথা সাধারণ মানুষের নয়, এই কথা বলছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু প্রশ্ন, ইউনুসের এই মন্তব্য কি দাগ কাটতে পেরেছে সাধারণ মানুষের মনে? সম্প্রতি নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেন, তবে ভারতকে ব্যবহার করে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা বিপজ্জনক, কারণ এটি দেশের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান একটি সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ ছিল একটি বিধ্বস্ত দেশ। যেখানে সব প্রতিষ্ঠান, ভবন, জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল। যেখানে সরকারপ্রধানের যেকোনো আদেশই কার্যকর হতো। ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন এবং দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর ছাত্ররা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে অনুরোধ জানায়।
এরপর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়তা দিতে রাজি হয়ে তিনি গত বছর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচারও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মোঃ ইউনূসের এই দাবিকে নস্যাৎ করে , দ্যা গার্ডিয়ান এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ ইউনুস এর শাসনকালে বেড়ে উঠেছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। রয়েছে তার শাসনকাল নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। দেশ এখন অস্থিতিশীল। অর্থাৎ চূড়ান্ত ব্যর্থ মোহম্মদ ইউনূস।
সেই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়েছে গোটা বিশ্বের দরবারের বাংলাদেশের অবস্থান। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি একই হয়ে রয়ে। আর এরমধ্যেই মার্চ ফর খিলাফতের ডাক হিজবুত তাহরীর। ঢাকা দখল করতে চায় এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠী। আসলে বাংলাদেশে খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে তারা। শুক্রবার ঢাকার রাজপথে দেখা গেল শয়ে শয়ে মৌলবাদীকে মিছিল করতে। বাংলাদেশ কিভাবে সন্ত্রাসী দেশে পরিণত হচ্ছে, তার বড় প্রমাণ এদিন। যদিও এই সংগঠনটির মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিস। রণক্ষেত্র হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার আমলে হিজবুত তাহেরী কোনভাবেই বেড়ে উঠতে পারেনি। হাসিনার সরকার তা করতে দেয়নি। কিন্তু এখন গোটা দেশে চলছে নৈরাজ্য। ইউনূসের আমলে গোটা বাংলাদেসে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী গুলি মাথা চারা দিচ্ছে। আর এর সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে। আর বলাই যায় যে, হিজবুত তাহেরির মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি মোহাম্মদ ইউনূসের আমলে বেড়ে উঠতেই তারা যেভাবে সংগঠন মজবুত করছে, তাতে ব্যর্থ হতে পারে বাংলাদেশের সরকার।
Discussion about this post