ভারতবর্ষের কাশ্মীরে ঘটে কি আছে এক ভয়ংকর জঙ্গি হামলা। যেখানে হিন্দু পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তাদের ওপর গুলিও চালানো হয়। আরে হিন্দু পর্যটকদের নৃশংস মৃত্যুর ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে। এই হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন ভারতের অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে। আর এই হামলার দৃশ্যের সাক্ষী থাকার পর রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ছে ভারত সহ গোটা বিশ্ব। কিন্তু দেখা গেল না বাংলাদেশকে! এর সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ থাকলেও চাপ এরাতে ব্যর্থ হল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ভারতের কাশ্মীরে সশস্ত্র জঙ্গিদের হামলায় পর্যটকদের প্রাণনাশের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, ইরান, ইসরায়েল সকলেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে ঘটনার সময়ে সৌদি আরব সফরে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফর কাটছাঁট করে বুধবার ভোরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। কোনো বিলম্ব না করে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং নিরাপত্তা ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সরকারি সূত্রগুলো জানায়, হামলার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া, তদন্ত এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে মূলত আলোচনা হয় বৈঠকে।
গোটা বিশ্ব যখন কাশ্মীরের জঙ্গি হামলা নিয়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে, তখন নির্বিকার থাকতে দেখা গিয়েছিল ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে। তবে ঘটনার পর যাবার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করে এরপর কূটনৈতিক মহলে সমালোচনা শুরু হলে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মোঃ ইউনুসের তরফে একটি ফেসবুক পোস্ট করে পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ভারত পুরোপুরি নিশানা করেছে পাকিস্তানকে। সেই কারণেই হয়তো, বাংলাদেশের এই মুহূর্তে পরম মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রাখতেই এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশে বিলম্ব বাংলাদেশ সরকারের।
Discussion about this post