গোটা বিশ্বে দুর্বলতম দুটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। দুটি দেশই এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানারকম পরিকল্পনায় মত্ত। কারণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর্থিক সংকট, ভৌগলিক পরিস্থিতি সমস্ত কিছুতে যেভাবে অনিশ্চয়তার ছায়া এসে পড়েছে তা গোটা বিশ্বের কোনও রাষ্ট্রেই হয়তো লক্ষ্য করা যায় না। এমনকি দুটি দেশ এখন বন্ধুত্ব সংকটেও ভুগছে। বর্তমানে গোটা বিশ্বে মিত্র হিসেবে একমাত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পরস্পরকে সঙ্গে নিয়েই চলছে। এই দুই দেশের মৌলবাদ দমন করতে প্রস্তুত ভারত। কারণ সম্প্রতি সাইপ্রাস সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৌলবাদীর বিরুদ্ধে করা হুমকি দিলেন।
জি-৭ বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকতেও যেভাবে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ইরানে তাতে ইরানের পাশে থাকছে না ভারত ভারতের অবস্থান ইজরায়েলের পক্ষে। নরেন্দ্র মোদির বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই ধরনের হুংকারে স্পষ্ট হচ্ছে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও কড়া কোন পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন পাকিস্তানের মিত্র বাংলাদেশ গোটা বিশ্বে বন্ধুত্ব সংকটে যখন ভুগছে তখন তাদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পরিচিত ভারতকেই তারা শত্রু হিসেবে বিবেচিত করছে ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে বাংলাদেশ সরকার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারতের তরফে কড়া কোনো পদক্ষেপ আসতে চলেছে তা বলাই যায়।
তবে বাংলাদেশের সামনে অত্যন্ত সংকটময় পরিস্থিতি, যেভাবে বৈশিক পরিস্থিতি তাদের দিক থেকে ঘুরছে তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিক অনেক সরকার শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতার রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতার সিংহাসন বাঁচাতে একের পর এক নয়া পরিকল্পনা শুরু করেছে ওই সরকার কিন্তু এত কিছুর পরেও কি শেষমেষ সিংহাসন রক্ষা সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনূসের? অন্যদিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ এখন একেবারে দুর্বল অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। সেদেশের জিডিপির হাল বেহাল, শিল্পে মন্দা, জ্বালানি সংকট বাড়ছে আমদানি কমছে ব্যয়বহুল সরকার রয়েছে দেশে, ফলে দেশে খাদ্য সংকট লক্ষ্য করা যাচ্ছে আর যে ভারতকে তারা এখন শত্রু বলে মনে করছে সেই ভারতে বিভিন্ন সময় খাদ্য সংকট মেটাতে সহায়তা প্রদান করছে। কিন্তু যেভাবে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে হয়তো খাদ্যপন্য সরবরাহ জল সরবরাহ সবটাই বন্ধ করবে ভারত সরকার।
আর অন্য দিকে পাকিস্তান উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জি ৭ বৈঠকের বক্তৃতায়, জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে মদত জোগানো দেশগুলিকে দায়ী করার উপর জোর দিয়েছেন ৷ পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই মোদি বলেন “বিশ্বের শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের চিন্তাভাবনা এবং নীতিগুলি পরিষ্কার কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন জানালে তাকে এর মূল্য দিতে হবে৷
Discussion about this post