সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে মব জাস্টিসের মাধ্যমে তুলে দেওয়ার ঘটনায় সারা দেশব্যাপী যেমন নিন্দার ঝড় উঠেছে, তেমনই বিশ্ব গণমাধ্যমেও এটা সামনে এসেছে। এমনকি এই সমালোচনার মাঝেই মবসৃষ্টিকারী একজনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশ কোনও ভূমিকা পালন করতে পারেনি। এদিকে ঢাকার পুলিশ কমিশনার দাবি করছেন, মবের বিরুদ্ধে পুলিশ সক্রিয়। এমনকি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন, মব কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। অনেকটাই এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু এই কার্যকলাপে শেষ ভরসা বলে মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে। তবে কি সেনাপ্রধানের নির্দেশে সেনাবাহিনী একশন শুরু করে দিল?
সেনাবাহিনীর উপরই আস্থা রাখতে হল দেশবাসীকে। লাগাতার যেভাবে দেশে মব চলছে, তাতে পুলিশের একশন দেখা গেল না। সাবেক নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার উপর যখন মব চালানো হল, তখন সেনাবাহিনী সক্রিয় হয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে। হানিফ মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব রয়েছেন। এমনকি ডিএমপি কমিশনার বলছেন, মব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তিনি বলেন, মব জাস্টিসের ঘটনায় তারা যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন এবং তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এমনকি এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। এদিকে উত্তরার পশ্চিমা থানার ওসি বলেছেন, এই ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অর্থাৎ পুলিশ এখনও এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে না সেটাই প্রমাণ করে।
অন্যদিকে যাকে গ্রেফতার করা হল, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একদম শেষে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অথচ প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি তিনি জুতো মারছেন, জুতোর মালা পরিয়ে দিচ্ছেন কে এম নুরুল হুদাকে, তার পরিচয় এখনো সামনে নিয়ে আসা পর্যন্ত হয়নি। এই নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তিনি নাকি বাংলাদেশে হওয়া একাধিক মব সৃষ্টিকারীদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন। কিন্তু তারপরও এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর এটা ঘিরে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। শেষমেষ কি করে অ্যাকশন নেবে? নাকি সেনাবাহিনীই শেষ ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে? এখন পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Discussion about this post