সল্টলেকবাসীদের বহু দিনের অভিযোগ, ঝাঁ চকচকে শহর হলেও এখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সুবিধা আজ পর্যন্ত ভালো হল না। সল্টলেকের বহু ব্লকে এখনও কোনও বাস চলাচল করে না। সেই সুযোগে এক শ্রেণির অটোচালক বেশি ভাড়া নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন। বাধ্য হয়েই বাসিন্দাদের বেশি ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে অসংখ্যবার বিধাননগর পুরনিগমের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন সল্টলেকের বাসিন্দারা। এবার সল্টলেকবাসীদের জন্য বড় খবর দিল বিধাননগর পুরনিগম। খুব শীঘ্রই সল্টলেকে চালু হচ্ছে ইন্টারসিটি বাস সার্ভিস। তাও আবার ঝাঁ চকচকে ইলেকট্রিক বাস।
সম্প্রতি বিধাননগর পুরনিগম সল্টলেকের যানবাহন সংক্রান্ত অভিযোগ মেটাতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দেয় পুরনিগমের কাছে। এই কমিটি পরিবহন দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের সঙ্গেও কথা বলে। তাতেই জানা যায়, বিধাননগরে গত দুই বছরে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। ফলে দূষণও বেড়েছে সেই হারে। সল্টলেকের বাতাসে মিশছে প্রচুর ধোঁয়া, ধুলোকণা এবং কার্বনকণা। গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই দূষণ বাড়ছে সল্টলেকে। তাই এবার সল্টলেকে নামানো হবে ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক বাস।
পাশাপাশি সল্টলেকের বাসিন্দাদের সুখবর শোনালো পরিবহন দফতর। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনেই সল্টেলেকে এবার চালু হচ্ছে ইন্টারসিটি বাস পরিষেবা। এই বাসগুলি সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে ঘুরবে যাত্রী পরিষেবা দিতে। বর্তমান সময়ে সল্টলেকে বেশিরভাগ বাস চলাচল করে উল্টোডাঙা থেকে করুণাময়ী হয়ে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। ফলে অন্যান্য ব্লকগুলি বঞ্চিত ছিল। এবার সেই দুঃখ ঘুঁচবে। তবে কোন কোন রুটে এই ব্যাটারি চালিত ইন্টারসিটি বাস চলবে সেটি ভোট মিটলেই ঘোষণা করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রিক বাসগুলি যেমন আধুনিক ও আরামদায়ক। তেমনই দূষণের দিক থেকে টেক্কা দেবে ডিজেলচালিত বাসগুলিকে। ফলে সল্টলেকের দূষণ চিত্র অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করছে পরিবহন দফতরের কর্তারা।
Discussion about this post