আয়লা, বুলবুল, ফণী, আম্ফান, মোকা, ইয়াশের পর এবার রেমাল। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় ও বর্জ্র বিদ্যুৎ-এর কবলে পড়ে ক্ষতি হয়েছে বহু বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের। কিন্তু বারংবার কি এই ক্ষতি মেনে নেওয়া সম্ভব? কখনওই নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ঠেকানো কখনওই সম্ভব নয় কিন্তু তার হাত থেকে আমরা অতি সহজেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে রক্ষা করতেই পারি। আগামীদিনে কীভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবল থেকে ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে রক্ষা করবেন আপনি, রইল সেই তথ্যই।।
রেমালের মতো আগামীদিনেও আসতে পারে অন্য কোনও ঘুর্ণিঝড়। তাই ঝড় তার দাপট দেখানোর আগেই বাড়ির ইলেক্টিক মিটারের মেন সুইচ বন্ধ রাখুন। এতে অনেক বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন আপনি।
বাড়িতে থাকা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে বিপদ মুক্ত রাখতে হলে অবশ্যই দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে অবশ্যই আর্থিং কানেকশন করা উচিত। শুধু তাই নয়, আর্থিং থাকা সত্বেও, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে সুইচ বোর্ডের কানেকশন থেকে বিচ্ছিন্ন করুন।
ঝড়ের সময় টি.ভি বা মাইক্রোওয়েভ চালাবেন না। বর্তমানে ফ্লাটগুলিতে জায়গা খুবই কম থাকে। ঘরের সৌন্দর্য্য বাড়াতে আমরা ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেসিনের উপর দেওয়ালের সঙ্গে ক্লাম্ব করে কাঠের তক্তা লাগিয়ে থাকি। তার উপর সহজেই মাইক্রোওভেন রেখে থাকি আমরা। ঝড়-বৃষ্টির সময় এতগুলো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এত কাছাকাছি না রাখাই ভালো। এতে খুব সহজেই যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।।
জানালার পাশে টি.ভি রাখবেন না। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সময় কখনও টিভি চালিয়ে রাখবেন না। এতে যেমন জীবনের ঝুঁকি থেকে যায় অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টির সময় টিভি সহ অন্য কোনও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চলমান অবস্থায় থাকলে তা খুব সহজেই মেঘে মেঘে ঘর্ষনের ফলে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে আকর্ষণ করে। ফলে সহজেই তা ঝলসে গিয়ে খারাপ হয়ে যায়।
Discussion about this post