বেশিরভাগ মানুষই ধূমপান করে থাকেন। ধূমপান এর নেশা এতটাই মাত্রায় বেড়ে যায় যে শত চেষ্টার পরেও কিছুতেই ছাড়তে পারেন না এই অভ্যাস। বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা। ফলে সময়ও নিয়ত হয় এদিকে ধূমপান ও কমে না। নেশা মুক্তির জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখি আমরা। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই প্রতারিত হন। এইসব বিজ্ঞাপন গুলির ফাঁদে না পরাই ভালো। বেশ কয়েকটি টিপসের মাধ্যমে আপনি নিজেই এই অভ্যাস ছাড়তে পারবেন।
আজই নিজের সাথে বোঝাপড়া করে নিন। আপনি একটু স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে চান এবং দীর্ঘায়ু হতে চান এই কথাটি মনে গেঁথে নিন। সাথে সিগারেটের ট্রিগার থেকে দূরে থাকুন। ট্রিগার বলতে ঠিক কোন কোন সময় আপনি, সিগারেট বা বিড়ি ধরান, সেই সময় টিকে নির্বাচন করুন। সিগারেট বা বিড়ির ট্রিগাররের সময়ের সাথে সাথে কাদের সঙ্গে বেশি থাকলে আপনি সিগারেট বা বিড়ি বেশি ধরার এটাও নির্বাচন করা বিশেষ প্রয়োজন। সেগুলিকে নির্বাচন করে , সেই ট্রিগার গুলিতে আপনি যদি সিগারেট না ধরান তাহলে কি অসুবিধা হতে পারে তা বোঝার চেষ্টা। এই সমস্যায় সমাধান আপনার কাছে, আপনিই পারবেন এর সমাধান করতে। বেশ কয়েকদিন এই ট্রিগার সময় অন্য কিছু খান, চা খেতে পারেন একটু অন্যরকম আড্ডা দিতে পারেন। এভাবে টানা বেশ কয়েকদিন সিগারেটের ট্রিগার থেকে বিরত থাকতে পারলেই, নেশা কাটবে অনেকাংশেই।
চুইংগাম চিবাতে থাকুন। আমাদের মস্তিষ্ক যখন কোনো কাজ করে তখন আমরা হুট করে নেশাসিক্ত হইনা। তাই পকেটে সবসময় চুইংগাম রেখে দিতে পারেন। ১ ঘণ্টা পর পর তা চেবাতে পারেন। এখন বাজারে নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট চুইংগামও বিক্রি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে তা চেবাতে পারেন।
তামাকের নিকোটিনের বদলে অন্য কোনো নিকোটিন ব্যয়ভার করতে পারেন।ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সময় মস্তিস্ক নিকোটিনের অভাবে ভোগে। তাই সেই অভাব মেটাতে ইনহেলার, স্প্রে এবং লজেন্স গ্রহণ করা যেতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম খুব ভালো অভ্যাস এর ফলে খারাপ অভ্যাস গুলির ধীরে ধীরে পতন হয়। অনেকের মতে, ধূমপানের ট্রিগারের ৫ মিনিটে যদি ব্যায়াম করা যায়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো, আর ধূমপানের নেশা কাটানোর পক্ষেও খুবই উপকারী।
ঘরবাড়ি সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ঘরের কোণে যদি নোংরার সাথে সিগারেটের টুকরো পরে থাকে কিংবা আপনার জানা কাপড় থেকে যদি সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ বের হয় তাহলে আপনি আবারো নেশায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাই ঘরবাড়ি সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। সুগন্ধি হোম স্প্রে বা সুগন্ধি ধুপ ব্যবহার করতে পারেন ঘরে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন । আমরা যদি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে উঠি তাহলে আসতে আসতে আমরা এই অভ্যাস ছাড়তে পারি। কারণ তামাক জাতীয় এই সব নেশার দ্রব্য আমাদের শরীরকে ভীষন পরিমাণ ক্ষতি করে। সে সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই অবহিত। তাই শরীর সম্পর্কে সচেতন হন এবং মাঝে মধ্যে ডাক্তারের কাছে স্বাস্থ্য চেকআপ করান। সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
Discussion about this post