WEB CASTING CAMERA
আগামী ১ লা জুন দেশে তথা রাজ্যে হতে চলেছে সপ্তম অর্যাৎ শেষ দফার নির্বাচন। প্রথম দফা থেকে যেমন ষষ্ঠ দফা পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে কমিশন। তবুও তার মধ্যে রাজ্যের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে কমিশনের কাছে। ঠিক তেমনই শেষ দফার ভোটে কোনও খামতি রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন। সপ্তম দফায় ভোট হতে চলেছে দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মণ্ড হারবার,যাদবপুর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ, এই ৯ কেন্দ্রে। শেষ দফার নির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথেই ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, বুথে ভোট গ্রহণ চলাকালীন ক্যামেরা ঠিকঠাক চলছে কিনা, তা নিশ্চিত করবেন প্রিসাইডিং অফিসাররাই। এ নিয়ে কোনওরূপ গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। শুধু তাই নয়, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ওয়েব কাস্টিংক্যামেরা বন্ধ হলে তার যথাযোগ্য জবাবদিহি করতে হবে ওই প্রিসাইডিং অফিসারকেই। ক্যামেরা বন্ধ হলে বন্ধ রাখতে হবে ভোট গ্রহণও। তবে এখানেই শেষ নয়, যদি কোনও বুথে গাফিলতি নজরে আসে, তাহলে সরিয়ে দেওয়া হবে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে। তখন বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর। অন্যদিকে, নেটওয়ার্কের কারণে কিছু কিছু জায়গায় ওয়েবকাস্টিং-য়ের মাধ্যমে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। এই ধরনের জায়গাকে কমিশনের তরফে শ্যাডো জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা যায়, শেষ দফার ভোটে একলাফে বাড়ে কুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা। যা বেড়ে হল ১ হাজার ৯৫৮। যার মধ্যে কলকাতার উঃ ও দঃ মিলিয়ে থাকছে মোট ৬০০ টিম। ৭২ টি বহুতল থেকে নজরদারি চালাবেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কলকাতা পুলিশ। নির্বাচনের পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে গোসাবা, সন্দেশখালির মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে। শেষ দফার ৯ কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৭০। যার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা হচ্ছে ৩ হজার ৭৪৮ টি। পাশাপাশি এই ৯ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে মোট ৯৬৭ কোম্পানী। এছাড়াও মোতায়েন থাকবে ৩৩ হাজার ২৯২ জন রাজ্য পুলিশও।
সময় কম। ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছেন ভোটকর্মীরা। পাশাপাশি জোড় কদমে DCRC কেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। তবে এখানেই শেষ নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনের গোসাবা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় যেখানে নদী পার করে বুথে পৌঁছাতে হয়। সেই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি নয়, সেই সকল স্থানগুলিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীদের। সেই সঙ্গে তাঁদের দেওয়া হয়েছে লাইফ জ্যাকেটও।
Discussion about this post