তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুসলিম মুখ ছিলেন ইকবাল আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ফুটবলের সঙ্গেও ওতপ্রোত ভাবে যোগ ছিল তার। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবল সচিব ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রয়াত কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা প্রাক্তন বিধায়ক ইকবাল আহমেদ। গত চার বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল আরও নানা বিধ অসুখ। অসুস্থতার কারণে খুব বেশি বাইরে বেরোতে পারতেন না। শুক্রবার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। ইকবালের প্রয়াণে রাতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল তৃণমূলের যে কয়েকজন নেতা, মন্ত্রীরা নারদ কাণ্ডে স্টিং অপারেশনে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সুলতান আহমেদ। তাঁকে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্ততকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর সুলতান আহমেদের মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রী সাজদা উপনির্বাচনে জিতে উলুবেড়িয়ার সাংসদ হন। তবে ইকবাল আহমেদকে বার বারই ইডির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারই মাঝে তিনি পুরসভা ডেপুটি মেয়র পদের দায়িত্ব পান। কিন্তু অসুস্থতার জেরে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়৷ ইকবাল আহমেদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে খেলার জগতেও৷ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মহমেডান স্পোর্টিং-র সচিব ইস্তেয়াক রাজু আহমেদ। এদিন তিনি জানান, “আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম। সুলতান দা যখন ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন আমি এবং ইকবাল দা একসঙ্গেই মাঠ করতে আসি। আমি ছিলাম ফুটবল সচিব। ইকবাল দা ছিলেন গ্রাউন্ড সচিব। কিন্তু দল নিয়ে ওঁর আবেগ ছিল সবচেয়ে বেশি। দলের সুখে দুঃখে ইকবালদা ছিলেন ছাতার মতো। ফুটবলারদের নিজের ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। এত বড় মনের মানুষের মৃত্যুতে মহামেডান ক্লাবের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। ম্যাচের সময় ডাগ আউটে বসে ওনার অবদান ছিল দেখার মতো। আমাকে রাজনীতিতেও নিয়ে এসেছিলেন ইকবাল দা। সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে গেল। ক্লাবে আজ পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। ক্লাবের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে তাঁকে।”
Discussion about this post