ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত রাজ্য জুড়ে। ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই এক সিপিএম নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠলো কয়েকজন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে রানাঘাট থানার মাটিকুমরা বাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত ওই সিপিএম নেতা অপূর্ব মজুমদার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নদিয়া রানাঘাট দু নম্বর ব্লকের নোকারি অঞ্চলে দীর্ঘদিন সিপিএম একনিষ্ট কর্মী হিসাবে তিনি কাজ করছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ তাকে রাস্তায় একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী, ভারী বস্তু দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয় বলে জানা গেছে। এরপর ওই বাম নেতাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে , রানাঘাট সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
সিপিএমের অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। তবে সিপিএমের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাটিকুমরা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উৎপল হাজরা। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, উৎপলের ইন্ধনে অবৈধ ভাবে বাজারে দোকান কেনা বেচা চলছে। এছাড়াও অবৈধ নির্মাণে মদত ছিল উৎপলের। ওই বাজারেই নির্মাণ সামগ্রীর দোকান রয়েছে সিপিএম নেতা অপূর্ব মজুমদারের। মাঝেমধ্যেই অপূর্ব বাজার কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ করতেন। তার জেরেই এই হামলা বলে দাবি সিপিএম নেতার।
এঘটনায় সিপিএমের রানাঘাট পূর্ব-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। মানুষ ওদের ভোট দেয়নি। এটা বুঝতে পেরেই ওরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। অপূর্ব এলাকায় প্রতিবাদী মুখ। তা ছাড়া ওঁকে আমরা নির্বাচনী কাউন্টিং এজেন্ট করেছি। ও যাতে গণনা কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে সেজন্যই ওর ওপর এই আক্রমণ। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল হাজরা ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশিস দাসের মদতেই হামলার ঘটনা ঘটে।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাজার কমিটির সভাপতি উৎপল হাজরা।
Discussion about this post