দুর্গাপুজোতেও ঢুকে পড়েছে রাজনীতি। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটি গুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই অনুদান নেবেন না বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সেই অনুদান নেবে না। এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশ নোটিশ ধরিয়েছে সজল ঘোষকে। গতকালই পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহর ও জেলার বড় পুজোগুলির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশকে আগাম পুজোর থিম জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে লেজার শোয়ের কারণে বিমান ওঠানামার সমস্যার কথাও বলেন। নিয়ম না মানলে পুজো ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা।
অথচ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার চার পাঁচদিন আগেই কলকাতা পুলিশের নোটিশ ধরায় সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের পুজো কমিটিকে। সেক্ষেত্রে গতবার রাম মন্দির বানিয়ে তাক লাগিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কয়ার। যা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। ভিড় সামলাতে বন্ধ করে দিতে হয় মণ্ডপ। তাই এ বছর আগেভাগেই কলকাতা পুলিশের তরফে নির্দেশিকা মেনে মণ্ডপ তৈরি করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারকে। এদিকে পুজোর মূল উদ্যোক্তা সজল ঘোষ মমতা সরকারের অনুদান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই উনি পুজো নিয়ে ভেবেছেন সেই কারণে। আমরা একবার এই অনুদানের টাকা নিয়েছিলাম যখন হাজার দশেক ছিল। সেই সময় ডিএ বা চাকরির দাবিতে রাস্তায় কেউ বসে থাকত না। চাকরির দাবিতে মেয়েরা মাথা কামাতেন না। আজ যখন তারা রাস্তায় বসে আছেন বছরের পর বছর এই টাকা নিলে তাঁদের অভিশাপ লাগবে না? এই টাকাটা দিয়ে সরকার বহু বছরের ডিএ দিয়ে দিতে পারত। এই টাকায় অনেকের চাকরি ও বেতন হতে পারত। ইতিহাসে থাকার জন্য উনি এগুলো করছেন।”
Discussion about this post