কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এই মেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের প্রকাশনী এবং সাহিত্য। তবে, ২৮ বছর পর এই প্রথমবারের মতো কলকাতা বইমেলা থেকে বাদ পড়ল বাংলাদেশের নাম। এই সিদ্ধান্তে বইপ্রেমীদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত ২৮ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার শিডিউলে অংশগ্রহণকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার এই বইমেলার শিডিউল প্রকাশ করা হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কলকাতা শহরের বইমেলার প্রতিটি সংস্করণে স্থান পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ওই বইমেলায় যোগ দিয়েছিলেন। সেই বছর বাংলাদেশ ছিল কলকাতার ওই বইমেলার থিম কান্ট্রি। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জি বলেছেন, বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে তারা এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনও নির্দেশনা পাননি। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না। সূত্র বলছে, গত বছরেও কলকাতা বইমেলায় বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল বাংলাদেশের স্টলের। হয়েছে উপার্জনও। তবে চলতি বছরে বাংলাদেশের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় রয়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রতিবার বাংলাদেশের পাবলিশার্সরা কলকাতা বইমেলায় প্যাভিলিয়ন করার জন্য আবেদন করে থাকেন। তার পর কেন্দ্রীয় অনুমতি সাপেক্ষে সেই ছাড়পত্র দেয় বইমেলা কর্তৃপক্ষ। তবে শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কলকাতা বইমেলায় গত বছর ৩ হাজার ফুটের বেশি জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। সেখানে অংশ নেয় ৪৫টি বাংলাদেশি প্রকাশনা সংস্থা। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোর মতো গত বছরও বইমেলা প্রাঙ্গণে পালন হয়েছিল বাংলাদেশ দিবস।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। যদিও কয়েকঘন্টার সেই শাসনকাল এখন রাজনৈতিক আলোচনার...
Read more
Discussion about this post