বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হচ্ছে। এবার বাংলাদেশ উঠে এল চাঞ্চল্যকর খবর। বাংলাদেশে হয়ে চলা ছোট ছোট নির্বাচনে জয়লাভ করছে আওয়ামী লীগ। তবে কি হাসিনা দেশ থেকে বেরিয়ে তলে তলে গুটি সাজাচ্ছে? এই বার বাংলাদেশের স্থায়ী সরকার গঠন করার জন্য নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে জিতবে আওয়ামী লীগ? তবে কি সাধারণ মানুষের সমর্থন হারায়নি হাসিনার দল? বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একেবারেই কি পরিকল্পিত? সম্প্রতি ঘটে চলা ঘটনাতে এই প্রশ্নগুলি উস্কে দিচ্ছে।
২০২৪ এর ৫ই আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা লুকিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাণভয়ে আত্মগোপন করেছিলেন তারা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউনুস এবং জামাত বাহিনী, বিএনপি তারা সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যে সামনে এসেছে আওয়ামী লীগের একের পর এক নির্বাচনে জয়লাভের খবর। তারমধ্যে কিছুদিন আগেই, আওয়ামী লীগ নেত্রী পর্দার আড়ালে থেকে সরাসরি গোটা বাংলাদেশের জুড়ে একটি দীর্ঘ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। সে কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। লিফলেট বিলি, জনসংযোগ, নিচের বিক্ষোভ প্রতিবাদ এবং হরতালে ডাক দিয়েছেন হাসিনা। এমনকি এটাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনরকম বাধা সৃষ্টি করা হয় এই কর্মসূচিতে, তবে আরও বড় কোন পদক্ষেপ করবে আওয়ামীলীগ। এই বিষয়টি নিয়েই রাজনৈতিক দখলেই নানা আলোচনা চলছিল। যে সরকার প্রায় বাংলাদেশ থেকে মুছে গিয়েছে, যে দলের সর্বোচ্চ নেত্রী দেশ ত্যাগ করেছেন, হয় বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন আর না হয় দেশের মধ্যেই আত্মগোপন করে রয়েছেন, সেই দল কিভাবে বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ একটি কর্মসূচীর ঘোষণা করল? তবে কি হাসিনার পিছনে বড় কোনও ভরসার হাত রয়েছে?
এদিকে বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। চাপে পড়ে মোহাম্মদ ইউনূস সম্ভাব্য দুটি সময় দিয়েছেন। ২০২৫ এর শেষে কিংবা ২০২৬ এর মাঝামাঝি। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যেভাবে তৃণমূল স্তরে আওয়ামী লীগকে বেছে নিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত কি ইউনুস থাকবেন দেশের অন্দরে? এমনিতেই বাংলাদেশ একাধিক দেশের রোষানলে পড়েছে। আমেরিকা থেকে ত্রাণ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকি সুইজারল্যান্ডও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কাজেই এখন দেখার, মহুমুদ ইউনুসকে কতদিন দেশের শীর্ষস্থানে রাখে সাধারণ জনগন!
Discussion about this post