প্রথম দেখায় দুজনের দুজনকে ভালো লেগে গিয়েছিল। এরপর একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে প্রেমে পড়া। এমনকি সেই প্রেমের সম্পর্ক প্রায় বিয়ের পিড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। এই দুজনের কেউই সাধারণ মানুষ নয়, তাঁরা প্রত্যেকেই সিনেমা জগতের তারকা। তবুও এই ঘটনা চাপা ছিল কয়েক দশক। অবশেষে সেই ঘটনার ৪৭ বছর পর জানা গেল সবটা। কথা হচ্ছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা প্রজাপতি-র প্রবীন জুটি মিঠুন চক্রবর্তী এবং মমতা শঙ্করকে নিয়ে। প্রজাপতি সুপার হিট হওয়ার পর জানা গেল তাঁদের প্রেমের উপাখ্যান এবং সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্প। শোনালেন মমতা শঙ্কর নিজেই।
১৯৭৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল মৃণাল সেনের মৃগয়া সিনেমা। ওই ছবির দুই কুশীলব ছিলেন মিঠুন এবং মমতা শঙ্কর। তাঁদের অভিনয় যথেষ্ট প্রশংশাও পেয়েছিল দর্শক মহলে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এরপর তাঁরা আর জুটি বাঁধেননি। কিন্তু কেন তা নিয়ে খুব একটা চর্চা হয়নি এতদিন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে বৃদ্ধ বয়েসে ফের বড়পর্দায় জুটি বাঁধলেন দুজনে। আর ফের কামাল দেখালো তাঁদের মিষ্টি প্রেমের রসায়ন। অনেকেই হয়তো জানেন না মিঠুন চক্রবর্তী এবং মমতা শঙ্কর একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন মৃগয়া সিনেমা করার সময়। এক বাংলা দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর নিজেই ফাঁস করেছেন এই কথা।
তবে তিনি সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নিয়ে মোটেই আফশোস করছেন না। বরং তাঁর দাবি, ওই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ভালোই হয়েছে। বর্তমানে তিনি তাঁর স্বামী চন্দ্রোদয়কে নিয়ে ভালোই আছেন বলে মমতা শঙ্কর জানান, জীবনসঙ্গী হিসেবে চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে তাঁর রসায়ন খুব ভালো হয়েছে। এবং তাঁকে আমি আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। পাশাপাশি মমতা শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, মিঠুনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক কোনও দিনও ছেদ পড়েনি। বরং আরও ভালো সম্পর্ক হয়েছে পরবর্তীকালে। এখনও আমরা খুব ভালো বন্ধু। কেন ভেঙেছিল মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্ক, সেটাও খোলসা করেছেন মমতা শঙ্কর। তিনি জানান, মিঠুন বিশ্বাস করতেন বাড়ির বউ বাড়ি থাকবে। বলিউডে সফল হয়েও মিঠুনকে বিয়ে করে যোগীতাবালি নিজের কেরিয়ার বিসর্জন দিয়েছেন।
তিনি বলিউডের কিং খান। তার নামে এখনও হলে মানুষ সিটি মারে। তাঁর সিনেমা মানেই সুপার-ডুপার হিট। পরবর্তী সিনেমার জন্য মুকিয়ে...
Read more
Discussion about this post