প্রাক্তন স্বামীর অশ্লীল ভিডিও ফাঁস করেছেন রাখি সাওয়ান্ত।এই অভিযোগে মামলা করেছেন আদিল।নানান কারণে চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত।কখনো দেখা যায় বিভিন্ন অবতারে রাস্তায় বেরিয়ে ক্যামেরার সামনে পোস দিতে,আবার কখনো নিজের হবু স্বামীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে।আবার কখনো সতীর্থদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে।এভাবেই বারবার চর্চায় তার নাম উঠে আসে।অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামী আদিল খান দুররানি।এই সম্পর্ক ও রাখি কে এনে দিয়েছিল সংবাদ শিরোনামে। তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।বিচ্ছেদের পর আবার বিয়ে করেন আদিল।এবছরের মার্চে দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন আদিল।আর তারপর থেকেই রাখি এবং আদিলের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে।রাখির সাথে বিয়ের পর আদিল দাবি করেছিলেন তাঁর সঙ্গে রাখির নিকাহ পুরোটাই রাখির প্ল্যান করা।সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরা ফেরা করে তাদের নিয়ে নানান ভিডিও।তবে এবার তাঁদের লড়াই পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি।
জানা গিয়েছে, আদিল খানের অশ্লীল ভিডিয়ো ফাঁস করেন প্রাক্তন স্ত্রী রাখি। এই অভিযোগে রাখির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আদিল।গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিনেত্রী। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট রাখির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেয়।
আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাখি কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে দেয়।এখানেই শেষ নয়, ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাখিকে আত্মসমর্পন করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট।
মুম্বই হাইকোর্ট অভিনেত্রীর আবেদন খারিজ করে দেওয়ায়।শীর্ষ আদালতে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রাখি।
২০২২ সালে বিয়ে করেছিল রাখি ও আদিল । কিন্তু ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে অভিনেত্রী বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন। এর কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।বিচ্ছেদের কারন হিসাবে রাখি আদিলকে সহিংসতা এবং যৌন হয়রানির জন্য অভিযুক্ত করেছিল।
অন্যদিকে রাখিকে ডিভোর্স দিয়ে ৩ মার্চ চুপিসাড়ে বিয়ে করেন রাখি সাওয়ান্তের প্রাক্তন স্বামী আদিল খান। বিগ বস ১২-এর প্রতিযোগী সোমি খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।পরিবার ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে বেঙ্গালুরুতে সোমিকে বিয়ে করেন আদিল।সাক্ষাতকারে আদিল বলেন যে এটাই তাঁর প্রথম বিয়ে। আদিল বরাবরই দাবি করে এসেছেন যে তাঁর সঙ্গে রাখির নিকাহ পুরোটাই রাখির সাজানো।
তারপরই রাখির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন আদিল।অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে 4 সপ্তাহের মধ্যেই রাখিকে আত্মসম্পর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
Discussion about this post