শুক্রবার ইডির হাজিরায় না গেলেও অযোগ্য প্রিমিয়ারে প্রসেনজিতের সঙ্গে হাজির ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবির সাফল্য নিয়ে কথা বলেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে গুরুত্বপূর্ণ একটি তদন্তে অনুপস্থিত ঋতুপর্ণা ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ৩০মে, ইডির নোটিস পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। ইডি সূত্রে খবর, ঋতুপর্ণা কলকাতার বাইরে থাকায় ই-মেল মারফত জানিয়ে সময় চেয়েছেন। ‘কলকাতার বাইরে থাকায় আজ যাওয়া সম্ভব নয়’, ইডিকে মেল করে জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ৬ তারিখের পর ডাকলে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী, খবর সূত্রের। এরপরে ৭ জুন ফের নোটিশ পান ঋতুপর্ণা। নতুন ছবি মুক্তির দিনই রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ফের নোটিস ইডির। ১৯ জুন অভিনেত্রীকে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ছবি ‘অযোগ্য’।
এটিই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা জুটির ৫০তম ছবি।
প্রসঙ্গত, ৫ বছর পর ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সির র্যাডারে উঠে এল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। রোজভ্যালির পর এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে গিয়েই সামনে উঠে আসে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নাম। রেশন দুর্নীতির টাকা কি ঘুরপথে তাঁর অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল? সেই বিষয়েই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। এখন প্রশ্ন হল ইডির ডাকে সাড়া দিতে পারেননি অভিনেত্রী। কিন্তু বিদেশ থেকে হাজির হয়ে গিয়েছেন সিনেমার প্রিমিয়ারে। এটা কি একেবারেই খুব স্বাভাবিকভাবে ঘটেছে নাকি ইডির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নিচ্ছেন অভিনেত্রী? তাহলে কি দুর্নীতিতে তিনিও যুক্ত তাই কি ভয় পাচ্ছেন ইডির মুখোমুখি হতে? এখন প্রশ্ন এটাই।
Discussion about this post