জলকে যেমন জীবন বলা হয়, তেমনি আমাদের বেঁচে থাকার জন্য গাছ জলের মতনই গুরুত্বপূর্ণ। গাছ থেকে যে অক্সিজেন আমরা পাই সেই অক্সিজেন আমাদের প্রাণ রক্ষা করে। আবার আমাদের শরীরের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে তারা শোষণ করে, পরিবেশকে দূষণ মুক্ত রাখে। এই গরমে গাছের তলায় আশ্রয় নিলে পরম শান্তি অনুভব করা যায়। তাছাড়া আমাদের নিত্যদিনের বেঁচে থাকার জন্য গাছের অবদান বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায়, বলা যায় গাছ ছাড়া আমরা ১ মিনিট ও বেঁচে থাকতে পারবনা। তাই তো অনেকে ঘরের মধ্যেও গাছ লাগান, তাতে অনেক রকম শারিরীক সমস্যা দূর হয়। শরীর সুস্থ থাকে। জটিল রোগের উপশম কমে।
কিন্তু মনের রোগের দিকে কি আমরা কেউ নজির দেই? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যস্ত সময়, কাজের চাপ, ঘরে-বাইরের দ্বায়িত্ব, অন্যের খেয়াল রাখা এইসব করতে করতে আমরা নিজেদের দিকেই খেয়াল রাখতে ভুলে যাই। বিশেষ করে, মনের খেয়ালের দিকে নজর দেইনি আমরা। আর এর ফলে মানসিক হতাশা, ডিপ্রেশন, একাকীত্ব, খিটখিটে মেজাজ, মন খারাপের মতন সমস্যায় ভুগি। ফলে অন্দরসজ্জায় গাছের ব্যবহার শুধু শরীর নয় মনকেও ভালো রাখবে। সবুজের ছোঁয়ায় মন শান্ত হয়। কিছু গাছ উদ্বেগ, চিন্তা, মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
বিশেষ করে এই তিন গাছ আপনার মানসিক উদ্বেগ কমাতে বিশেষ ভাবে কাজ করবে। জেনে নিন কোন সেই ৩ টি গাছ।
পিস লিলি
কম যত্নে বেড়ে উঠতে পারে এই গাছ। কিন্তু অত্যাধিক রোদে এই গাছ না রাখাই ভালো। একটু ছায়া জাতীয়, ভেজা জায়গা, ছাদের তলায় , বাথরুমের পাশে, কিংবা ঘরের এক কোণে রেখে দিতে পারেন এই গাছ। এই গাছ ঘরের ভিতরের বাতাসকে হালকা করে, মানসিক চাপ কমায়। তাছাড়া ঘরের বাতাসকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এর সাদা ফুল যেমন আপনার মনকে ভরিয়ে দেবে, তেমনি ঘরের ভিতরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তুলবে। ফলে আপনি ঘরে ঢুকলে মানসিক শান্তি অনুভব করবেন।
স্নেক প্ল্যান্ট
ঘরের এক কোণে কম যত্নেও বেড়ে উঠবে এই গাছটি। কম জলেও বেঁচে থাকে বহু বছর। খুব বেশি আলোরও প্রয়োজন হয়না এই গাছের বেঁচে থাকার জন্য। সূর্যের আলো যেখানে সরাসরি পড়েনা সেখানে রাখতে পারেন স্নেক প্ল্যান্টকে। স্নেক প্ল্যান্ট আপনার মানসিক চাপকে কম করবে, তাছাড়া চিন্তা উদ্বেগ কমাবে এই গাছ। তাছাড়া এই গাছ রাখলে একাকীত্ব অনুভব হবেনা।
ফ্ল্যামিংগো লিলি
সারা বছর লাল হলুদ ফুল হয়, পিস লিলির মতন ঘরের পরিবেশকে শান্ত রাখে। ভেজা, রোদহীন জায়গায় এই গাছ বাড়ে বেশি। তবে হালকা রোদ আসছে এমন জায়গায় ও রাখতে পারেন। পিস লিলির মতন ঘরের দূষিত পদার্থকে শোষণ করে ঘরের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখে। এটি আমাদের ডিপ্রেশন কমায়, মন হালকা করে, হতাশা ও মানসিক চাপ কম করে।
Discussion about this post