১লা জুন, আদালত প্রাঙ্গণে বা বিচার বিভাগে অনেকগুলি ঘটনা একসঙ্গে ঘটেছে। যেগুলি খুবই লক্ষ্যণীয়। আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। শেখ হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। যেটা এই প্রথম সরাসরি লাইভের মাধ্যমে দেখানো হল। এই বিষয়টি নিয়ে পক্ষে, বিপক্ষে নানা যুক্তি খাড়া করছেন, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। জামাতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং ২১শে আগস্ট গ্র্যান্ড হামলা মামলা থেকে তারেক রহমান সহ অন্যান্য রা খালাস পেয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করতে পারবে। এরকম অনুমতি সর্বোচ্চ আদালত দিয়েছে বলে খবর। আসলে কি চলছে বাংলাদেশে, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন।
প্রথমেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেটি লাইভ টেলিকাস্ট করে দেখানো হয়েছে। অনেকের এর পক্ষে যুক্তি দিলেও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বিপক্ষে কথা বলছেন। তারা বলছেন, এটা সরাসরি জনসমক্ষে এলে আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি এটাও তারা বলছেন, যে সমস্ত আইনজীবীরা শেখ হাসিনার পক্ষের সওয়াল করবেন তারা সাধারণ মানুষের সামনে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তি, তর্ক করতে পারবেন না। এমনিতেই বাংলাদেশে পূর্ণ গতিতে চলছে মব কালচার।
এখানে আরও একটি প্রশ্ন উঠছে, শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়ায় কি কেউ দাবি করেছে যে, ক্যামেরার সামনে বিচার করতে হবে? জানা যাচ্ছে এনসিপি সহ কিছু দলের দাবি ছিল, বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে হবে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি করে সাময়িক জনপ্রিয়তা আসতে পারে। কেউ কেউ আনন্দে পুলকিত হতে পারেন, যে বিচার হয়তো হয়ে গেল। কিন্তু আদতে যেমন বিচার হবে, সেইভাবেই চলবে। এদিকে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তিনি শুরুতেই একটি মন্তব্য করেছেন,। তিনি বলেছেন এটি কোনও প্রতিশোধ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের সু বিচারের প্রতিজ্ঞা। এখানে প্রশ্ন উঠছে, তিনি এই মন্তব্য কেন করলেন? সত্যিই তো বিচার কখনোই প্রতিশোধ নয়। বরং গোটা দেশের কাছে স্বচ্ছতার সঙ্গে অপরাধীর অপরাধ তুলে ধীরে যথাযোগ্য শাস্তি দেওয়া। এবং সেটা আইন মেনে, সংবিধান মেনে। জানা যাচ্ছে, জুলাই অগাস্টে ১৪০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫ হাজার মানুষ আহত করা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এছাড়াও খবর রয়েছে, শেখ হাসিনা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট দাখিল করা হয়েছে বলে খবর। এমনকি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৬ই জুন অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে সব থেকে বেশি বিতর্ক ছড়িয়েছে, লাইভ টেলিকাস্ট নিয়ে।
Discussion about this post