চক্রান্ত করে ক্ষমতায় বসেছেন মোহাম্মদ ইউনুস। জুলাই আন্দোলন ছাত্র ও জনতার আন্দোলন ছিল না। অডিও বার্তায় সরব শেখ হাসিনা। দীর্ঘই বার্তায় দেশের আইনশৃঙ্খলা জাতির নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার দাবি,চক্রান্ত করে ক্ষমতায় বসেছে ইউনুস, আর সেই কথা নিজেই স্বীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে তিনি নিজেই বলেছেন, যে জুলাই আন্দোলন কোনও ছাত্র ও জনতার আন্দোলন ছিল না। এটা ছিল ইউনূসের মেটাকুলাস ডিজাইন আন্দোলন, মাস্টারমাইন্ড দ্বারা সংগঠিত করা একটি আন্দোলন। খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মন্তব্য করে ইউনুস নিজেই বুঝিয়ে দিলেন যে চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসেছেন তিনি এবং মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন সাধারণ মানুষকে।
সম্প্রতি মোঃ ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গেও তুলে ধরলেন শেখ হাসিনা। ওই সাক্ষাৎকারে যখন একজন বিদেশী সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, খুন ডাকাতি বেরিয়ে চলেছে 32 নম্বর ধানমন্ডি ভাঙ্গা হচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করা হচ্ছে তখন সরকার কেন নির্বিকার? সেই প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ ইনস জানিয়েছেন, “এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে মানুষ পুলিশের কাছে যেতে পারেন, অভিযোগ জানাতে পারেন বা অনলাইনেও অভিযোগ জানাতে পারেন তারা।” এই প্রেক্ষিতেই শেখ হাসিনার প্রশ্ন, দেশ ও জাতির নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হচ্ছে, ৩২ নম্বর ধানমন্ডি বুলডোজার করে দেওয়া হচ্ছে তখন কি সত্যিই সরকারের কোন দায় দায়িত্ব থাকে না? প্রতিমুহূর্তে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থক এমনকি তাদের আত্মীয়দেরও অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। রীতিমতো গণহত্যা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত বছর জুলাই মাস থেকে আন্দোলণের শুরুতে যখন ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তভাবে আন্দোলন শুরু করল তখন তো তাদের ওপর আওয়ামী লীগ চড়াও হয়নি। তবে যখন পুলিশ হত্যা শুরু হল, থানা,মেট্রোরেল ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর যখন আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হল তারপর থেকে পরিস্থিতির সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছিল পুলিশ বাহিনীকে। বাংলাদেশে একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আর সমস্ত দায় গিয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের উপরে। যারা অপরাধ করলো সে সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই সমস্ত মামলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে গিয়ে তাদের পরিবারের সকলকে হত্যা বাড়ি ভাঙচুর অত্যাচার প্রতিনিয়ত চলছে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে। আর মোহাম্মদ ইউনুস যখন বলছেন অনলাইনে অভিযোগ জানানোর কথা তখন হাসিনার দাবি ডিজিটাল পদ্ধতিগুলিও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই তৈরি তাহলে বর্তমান সরকারের ভূমিকা কি? তিন-চার হাজার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ হত্যা হয়েছে দেশে ফিরে এই সমস্ত হত্যার বিচার করবেন হাসিনা।
এমনকি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে দিন দিন। দেশে নারী সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা অহরহ বেড়ে চলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। এই আবহে সেদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, পরিসংখ্যান বলছে ফেব্রুয়ারি মাসে গড়ে ১২টি করে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। নারী নিরাপত্তা নিয়ে হাসিনার এই ইতিবাচক বার্তা ভরসা জুগিয়েছে সাধারণ নারীদের মনে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আর সাম্প্রতিককালে ঘটে চলা নারী নির্যাতন ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরায় আরো কিছুটা চাপে পড়লো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
Discussion about this post