একদিকে ভারত বলছে অপারেশন সিঁদুর চলছে। জঙ্গি দমনের মিশন চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা। আর অন্যদিকে পাকিস্তান নাকি বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছে। ভারতের আক্রমণ সহ্য করতে না পেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে গিয়ে ভারতকে আক্রমণ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে। আবার সেই সংঘর্ষ বিরতি নিজেরাই লংঘন করেছে। যে দেশ সামরিক, কূটনৈতিক স্তরে পেরে উঠতে না পেরে সাধারণ মানুষের প্রাণকে বাজি রেখে ঢাল করে, সে নাকি যুদ্ধে জিতেছে। আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান?
নিজেরাই সংঘর্ষ বিরতি চেয়েছিল। আবার নিজেরাই সেটা লঙ্ঘন করেছে। বিভিন্ন দেশের কাছে অনুরোধ করে ট্রাম্প এর মধ্যস্থতায় ভারতের থেকে আক্রমণ বন্ধ করে, সেটিকে আবার জয় হিসাবে দেখছে পাকিস্তান। রীতিমতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ পাক সেনার বিজয় উৎসব পালনের আহ্বান জানান।
বাইট শাহবাজ শরীফ, পাক প্রধানমন্ত্রী
নিজেদের পরাজয়ের দুঃখে কার্যত হাস্যকর কার্যকলাপ করতে শুরু করেছে জঙ্গি দেশটি। ভারতের তিন বাহিনীর কর্তা এবং অন্যদিকে ডিজিএমও সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর চলছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত লড়াই করছে। তবে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের লক্ষ্য হল, জঙ্গি ঘাঁটি শেষ করা, সন্ত্রাস শেষ করা। পাল্টা পাকিস্তান হামলা চালালে ভারত প্রত্যাঘাত করতে বাধ্য হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কি বলেছেন শুনুন
বাইট তিন বাহিনীর কর্তার সাংবাদিক সম্মেলন
ভারতের তরফে সমস্ত দেশবাসীর কাছে আর জে জানানো হয়েছে, ভুয়ো তথ্য যাতে কোনোভাবে ছড়ানো না হয়। অন্তত তথ্য যাচাই করে সেই তথ্য ছড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে,
পাকিস্তানের ১১টা মিলিটারি এয়ারবেস প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। প্রায় ১৬ টি শহর প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের। যখন পেরে উঠতে পারছে না পাকিস্তান, তখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা চায় শাহবাজ শরীফের দেশ। ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতায় আনে। ট্রাম্প এই কথা ঘোষণা করে দুই দেশকে ধন্যবাদও জানান। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন। কিন্তু তার তিন ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান গুলি বর্ষণ করে সীমান্তে। একাধিক জায়গায় সাধারণ নাগরিকদের বাড়ি এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। তবে সবটাই আকাশে নিকেশ করে দেওয়া গিয়েছে বলে জানায় ভারত। অন্যদিকে আজ ভারত পাক ডিজিএমও এর তরফে বৈঠক রয়েছে। কিন্তু সেখানে কি আলোচনায় উঠে আসতে পারে সেটা জানানো হয়নি ভারতের তরফে। তবে খানিকটা আন্দাজ করা গিয়েছে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ এর মন্তব্য থেকে।। তার মন্তব্য, এই বৈঠকে সন্ত্রাস দমন, সিংহ জলবন্টন চুক্তি এবং কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কথা হতে পারে।
কিন্তু ভারত এটি মোটেই ভালো চোখে দেখছে না। নিজেরা সংঘর্ষ বিরতিতে সমঝোতায় এসে সেটা লংঘন করেছে। যদিও পাকিস্তানের ডিজিএমও এর কাছে এই বিষয়টি নিয়ে এসেছে ভারত। যদি আজ ডিজিএম ওর পর্যায়ে বৈঠক হয়, তবে সেখানে কি কি বিষয় উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।
Discussion about this post