দেশ যেটা চাইছে, সেই দিকেই এগোচ্ছে ভারত। সেটাই হবে। এমনটাই বার্তা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অর্থাৎ যারা ভাবছে, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রত্যাঘাত হানছে না, তাদের ভাবনা ভুল প্রমাণিত হল। প্রথমে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি বন্ধ করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। তারপর বাণিজ্যিক ক্ষেত্র বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর চেনাবের জল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলেছে নৌ মরা। মক ড্রিলের ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে নয়া দিল্লির তরফে। অর্থাৎ গোটা দেশ যেমন চেয়েছে, সেই দিকেই এগোচ্ছে ভারত। কি বলেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং..
শুনুন
পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সম্পর্ক অবনতির দিকে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, গোটা বিশ্ব যুদ্ধের আবহ বলে অভিহিত করছে এই মুহূর্তে। এদিকে আমেরিকা, জাতিসংঘ ভারতকে যুদ্ধে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া পর্যন্ত ভারতকে জানিয়েছে, দুই দেশ আলোচনা করে সমাধান মিটিয়ে নিক। যে রাশিয়া কিনা তিন বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে ভারত এখন যেটা চাইবে সেটাই হবে। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ একদিকে যেমন শোকোস্তব্ধ, তেমন অন্যদিকে কড়া প্রত্যাখাত চাইছে। আর সেদিকেই এগোচ্ছে ভারত।
প্রত্যাঘাতের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই ভারতীয় নৌ বাহিনী মহড়া দিল গুজরাট উপকূলে। এমনকি যে জায়গায় এই মহড়া চলছে, সেখান থেকে করাচি বেশি দূর নয়। মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই শরটিকে লিড করতে পারে যায়। তারা প্রথমেই লাইফ ফায়ার মিসাইল এক্সারসাইজ করতে শুরু করেছে। মিসাইল ছড়া হবে, এবং দেখা হবে যুদ্ধক্ষেত্রে এগুলি কতটা সক্ষম এবং শক্তিশালী। জানা যাচ্ছে, এই মহড়াতে ডেস্ট্রয়ার শিপ, ব্রহ্মস এবং আরও কতগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র মহড়ায় অংশ নিয়েছে। এমনকি জানা যাচ্ছে এই মহড়াতে ছিল ফোর গ্রিন মেসেজ ছাড়া হয়েছে। এটি একটি সেকিউররিটি প্রটোকলের অংশ। আর এই সমস্ত কিছু পাকিস্তানকে বার্তা দেবার জন্য যে ভারত করছে, সেটা বুঝেছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয় এরই পাল্টা ভারতকে বোঝানোর জন্য পাকিস্তানও করাচির কাছে শুরু করেছে মহড়া। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান লড়বে কাকে নিয়ে! তার কারণ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান তিনি নাকি নিখোঁজ। তিনি এই মুহূর্তে দেশে নেই। ফলে তারা এখন বিভিন্ন জায়গায় দারস্ত হচ্ছে। কখনও জাতিসংঘের প্রধান কে দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রীকে ফোন করাচ্ছে। কিন্তু ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একেবারে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, যে সন্ত্রাস চলেছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করবে ভারত। অন্তত প্রতিবাদ তো চলবে। আসলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে বিগত দিনে পাকিস্তান এবং আরও একটি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে একের পর এক মন্তব্য ধেয়ে এসেছে, তাতে অন্তত তারা বোঝে, ভারত বর্ষ বিশ্বের মাপকাঠিতে কোন জায়গায় বিরাজ করছে। শক্তি প্রদর্শন অনেক সময় প্রয়োজন। অন্তত প্রতিপক্ষদের বোঝানোর ক্ষেত্রে। এখন, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর এই মন্তব্য, যা গোটা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছে।
Discussion about this post