ভারত পাক যুদ্ধের আবহে, কী প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের? কী পরিকল্পনা করছে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশ? এই বিভিন্ন প্রশ্ন গুলি যেন এখন বিভিন্ন মহলের চর্চার বিষয়। কারণ, সেদেশের দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে ভারত বিদ্বেষ। ফিরে যেতে হবে ৫ অগাস্ট ২০২৪ এ, যখন সে দেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর, দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গঠিত হয়, ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ নয় মাস। এই নয় মাসে, আমরা দেখেছি কিভাবে ভারত বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে, সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এবং কিভাবে প্রতিনিয়ত নির্বিশেষে অত্যাচার চালানো হয়েছে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের উপর, কখনও দেখা গিয়েছে চিকেনস নেক দখলের হুংকার আবার কখনো ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর বাংলাদেশ দেখেছে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে তারা দেখেছে বাইশে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও এ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হল সাধারণ পর্যটক। আর এই সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের জঙ্গীযোগ একেবারে স্পষ্ট। এরপরে ভারত অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে কোন পাক সেনা কে নিশানা না করে সাধারণ মানুষের প্রাণ নাশ না করে, শুধুমাত্র একের পর এক নটি জঙ্গি খাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। এই অপারেশনের আগেই দেখা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি ভারতের তিন বাহিনীকে সামরিক ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন তারপরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের এই সুপরিকল্পিত অভিযান, অপারেশন সিঁদুর। কিন্তু পাকিস্তান কি করলো পাল্টা হামলা চালালো ভারতীয় সাধারণ নাগরিকদের ওপর। পাকিস্তানের হামলায় প্রাণ হারালো ভারতের ১৬ জন সাধারণ নাগরিক। শুধু সাধারণের উপর হামলা চালিয়ে থেমে থাকেনি পাকিস্তান, নিশানা করেছিল ভারতীয় সেনা ঘাটি গুলি কেও। আর এর পরে ভারত অলআউট টা কে নেমে পড়ে। ধরে ধরে সমস্ত পাক ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। অর্থাৎ যেমন অপারেশন সিঁদুরে দেখা গিয়েছিল ভারত পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুলিকে নিশানা করে ধ্বংস করে এসেছে তেমনই পাকিস্তানের এই পালটা হামলার বিরুদ্ধে ভারত তার তার সুদর্শন চক্র আকাশ একের পর এক যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে পাকিস্তানের নিশানা। শুরু থেকেই পাকিস্তান কে যুদ্ধ জিগির তুলতে দেখা গিয়েছিল নানা রকম হুঁশিয়ার এসেছে পাকিস্তানের তরফে। কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তানের সমস্ত ড্রোন গুলিকে আকাশেই শেষ করে দিয়েছে ভারত। ৪০০ এর বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান আর সেই সবগুলি এই ধ্বংস করতে সফল ভারতীয় সেনা। তাই পাকিস্তানও এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, ভয় পাচ্ছে ভারতকে। আর যুদ্ধের আবহে ভারতের এই শক্তি দেশে কোথাও গিয়ে কী আতঙ্কে ইউনুসের বাংলাদেশও? কোথায় গেল মহম্মদ ইউনুসের ভারতের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি? এখন কি সবটাই বন্ধ হয়ে গেল? আর নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য পথ অবলম্বন করছে ক্ষমতার লোভী ইউনুস?
সম্প্রতি, বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, অন্তরবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ক্ষমতালোভী ইউনুস এখন চাইছে দেশে নিষিদ্ধ করতে। কারণ আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতারচ্যুতি দেশ ত্যাগ এবং এরপর ভারতে এসে আশ্রয়। আর বরাবরই শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক। তাই ভারতের কূপের হাত থেকে বাঁচতে দেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাই এখন প্রধান কাজ বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনুস। মোহাম্মদ ইউনুছ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দীর্ঘ ন মাসে বহুবার শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ও ভার্চুয়াল বার্তা দিয়ে এসেছেন লাগাতার। সেখানে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাই সমস্যার সমাধান বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে বারে বারে সুর চরানো বা হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়তো ঠিক কাজ হয়নি বলেই উপলদ্ধি করছেন ডঃ মহম্মদ ইউনুস, ভারত বিদ্বেষ তৈরি না করলে আজ হয়তো থরোহরিকম্প অবস্থায় পরতে হতোনা ইউনুসকে অভিমত, বিশেষজ্ঞদের।
Discussion about this post