অফিসে কাজের চাপে অনেকেই ভাল করে খেতে পারেন না। তাই বাইরের ভাজাভুজি কিংবা অন্য খাবার না খেয়ে, হাতের সামনে রাখুন এই খাবারগুলো।কাজের মাঝে খাবারের চাহিদা সবারই বাড়ে। এই সময় আমরা বাইরের মুখরোচক খাবারের প্রতি ঝুঁকি, তবে সেই সময়, ভাজা ভূজি কিংবা পিৎজা বার্গার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খেতে পারেন। যা একাধারে মুখরোচক, অন্যদিকে ওয়ার্টাইমে যখন তখন পাশে নিয়ে খেতে পারবেন।
ড্রাই ফ্রুটস
ড্রাই ফ্রুটস আসলে তাজা ফলকে শুকিয়ে প্রস্তুত করা হয়। ফলকে সূর্যের তাপে শুকানো হয় অথবা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাই এই খাবারটি বেশি পুষ্টিকর, এবং হাতের সামনে রেখে যখন তখন খাওয়া যায়।
শসার চাট
গরমে জলযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাই সেই তালিকায় শসাকে রাখতে পারেন। পুষ্টিবিদরা শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ মতামত দেন। শসার উপরে পেঁয়াজ কুচি, বিটনুন, চাটমশলা, লঙ্কা গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা কুচি ছড়িয়ে খেলে খেতেও ভাল লাগে, আর শরীরে খুব বেশি ক্যালোরিও যায় না।
ঘোল
ঘোল বা মাঠা হচ্ছে ছানার জল যা বিভিন্ন দেশে একটি উপাদেয় পানীয় হিসেবে পরিচিত।এই পানীয়তে দুধের কেজিন প্রোটিন ছাড়া আর সকল উপাদানই বিদ্যমান।তবে চিনি নয় চিনির বদলে গুড়, ভাজা মশলা, পুদিনা পাতা দিয়ে এটি বানিয়ে খেতে পারেন।
মুগডাল চাট
জলে ভেজানো অঙ্কুরিত মুগ ডাল চাট বানানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপাদান। ১০০ গ্রাম মুগ ডালের মধ্যে রয়েছে ২৫ গ্রাম প্রোটিন। কোলেস্টেরল একেবারেই না থাকা, পাশাপাশি উত্সেচক, ভিটামিন, মিনারেল, ক্লোরোফিলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় মুগ ডালকে অন্যতম সুপারফুড বলে থাকেন ডায়েটিশিয়ানরা। তাই ভাজা মুগডাল কে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা, টম্যাটো লেবু মিশিয়ে অফিসে খেতে পারেন।
মশলা মাখনা
সামান্য ঘিয়ে মাখনা ভেজে নিন। ভাজা মাখনা উপর বিভিন্ন রকম মশলা, বিশেষ করে গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে খেতে পারেন। এটি ক্যালরির একটি ভালো উৎস। যা আপনাকে অফিসের কাজে উদ্দীপনা জোগাবে।
Discussion about this post