কাঠফাটা গরমে কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি দেবে বরফজলে স্নান।তীব্র গরমে দু থেকে তিন বেলাই স্নান করে থাকেন অনেকে।অত্যধিক গরম পড়লে বরফজলে গা ভেজাতে ইচ্ছা করবে নিশ্চই।বরফজলে স্নান অর্থাৎ ‘আইস বাথ’।কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বরফজলে ডুবে বসে থাকাটাও মুখের কথা নয়।সোশ্যাল মেডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যায় তারকাদের এই আইস বাথের ছবি।বাথ টবে বরফ জলে শরীর ভিজিয়ে রিলাক্স করছেন বড় বড় অভিনেতা থেকে খেলোয়াররা।কিন্তু এটা কতটা সেফ!বরফের জলে গা ভেজানোর কি উপকারিতা আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আইস বাথ কে বলা হয় ‘ক্রায়োথেরাপি’-। এ নিয়ে নানা গবেষণা হয়েছে।নানা মুনির নানা মত।কেউ বলছেন, শরীরে ব্যথা-বেদনা নিরাময়ে আইস বাথ উপকারী।আবার কারও মতে, এই থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
তবে, ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড অর্থপেডিক্স’-এর চিকিৎসক এ ব্রায়ন গার্ডনর বলছেন, “ক্রায়োথেরাপির যে কোনও গুণ নেই, এ কথা হলফ করে বলা যায় না। তবে, টিস্যু কিংবা পেশির ক্ষত সারাতে ক্রায়োথেরাপি সকলের ক্ষেত্রে একই রকম ভাবে কাজ করে না।”
বরফজলে স্নান করলে কী কী উপকার হয়?
১) প্রদাহ নাশ করে
শরীরচর্চা করে বা যেকোনো পরিশ্রমী কাজ করলে দেহে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।সেই প্রদাহ নির্মূল করতে পারে এই বরফগলা ঠান্ডা জল।
২) পেশির ব্যথা কমায়
শরীরচর্চা করলে পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।বরফগলা জলে গা ভেজালে পেশির ব্যাথা কমে।
৩) রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে
রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে যায়।যা আপনার স্বাস্থকে ভালো রাখে।আইস বাথ দেহে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে।
৪) মানসিক চাপ কম করে
নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার অনেকেই।এই মানসিক চাপ বা মেন্টাল স্ট্রেস কমাতে পারে আইস বাথ।
চিকিৎসকেরা বলছেন,বরফগলা ঠান্ডা জলে স্নান করলে এক বিশেষ প্রোটিনের ক্ষরণ বাড়ে।যা মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৫) ক্ষত নিরাময়
শরীরের কোনও অংশে আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়।সেই ক্ষতস্থানে বরফগলা জল দিলে অনেকটা উপশম হয়।বরফগলা জল সেই ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে।আর রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়।
Discussion about this post