রবিবারেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাটপাড়ায় সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই একই লোকসভা কেন্দ্রের আমডাঙাতে সভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ব্যারাকপুরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, ‘‘দেগঙ্গাতে প্রতিবার ইলেকশনের আগে একটা করে মিটিং করার সুযোগ মেলে। আমি ভুলি কম, মনে থাকে। আমি যখন এখানে মিটিং করেছি তখন আমাদের দেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বারাকপুরে মিটিং করেছি। তিনি নাকি গ্যারান্টি দিয়েছেন। মতুয়াদের সিএএ করতেই হবে।
আমি বলছি মতুয়ারা নাগরিক। ওরা আপনাকে ভোট দিয়েছেন। ওরা নাগরিক। আমার মতুয়া ভাই বোনদের গায়ে হাত দিলে আমার গায়ে হাত দেবেন”। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আজ ও সন্দেশ খালি নিয়ে বলেছেন। আপনার জন্যই সন্দেশ অপেক্ষা করছে। মোদি যা রা হে। আপনারা যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলেন না আমার গায়ে ফোস্কা পড়বে না। ওটা আপনারা ভয়ে বলছেন। আজ আপনি চোর বলছেন। সার্টিফিকেট গুলো নিয়ে আসব? ১০০ দিনের কাজে কে প্রথম হয়েছে পাঁচ বার? বাংলা। ভাষার কি কদর্য? আজ মোদি দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। জাতি বিক্রি করে দিয়েছে। মায়ের সন্মান বিক্রি করে দিয়েছে। রাস্তা বিক্রি করে দিয়েছে।”
শেয়ার মার্কেটের কথা তুলে বলেন, “সারা দেশের শেয়ার মার্কেট ক্র্যাশ করছে। যারা ভারতে লগ্নি করছে তারা সব টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’’ মমতার সংযোজন, ‘‘অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন সিএএ করব না। তোমার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিল। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিল না।এখন দেখুন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছে। তোমরা রেশন দেও না।তুমি শুধু ভাষণ দাও।এখন থেকে কি ভয় ? এখন থেকেই বলছে এই সরকার নাকি পাল্টানোর চেষ্টা করবে। তুমি কেন বলবে? তোমার কিসের ভয়? মানুষ ঠিক করবে। সব থেকে বড় কয়লা চোর কে? কেন্দ্র সরকার। কারণ কয়লা কেন্দ্রের অধীনে। সব থেকে বড় গরু চোর কে? ওটা কেন্দ্রের অধীনে। হোম মিনিস্টারের অধীনে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আগে জুটের শ্রমিকরা জানতে চান কেন জুট নেওয়া বন্ধ করে দিল? ব্যারাকপুরে অনেক জুট কারখানা আছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আগে জুটের শ্রমিকরা জানতে চান কেন জুট নেওয়া বন্ধ করে দিল? ব্যারাকপুরে অনেক জুট কারখানা আছে। মোদির রাগ তো এটাই মেয়েদের জন্য কিছুই করতে পারেনি। মাঝে মধ্যেই আইটিদের দিয়ে পাঠায়। বাংলা পিছিয়ে গিয়েছে নাকি এগিয়ে গেছে সমীক্ষা করে দেখতে বলুন। ইন্ডিয়া যেখানে ৮ আমরা সেখানে ১১।’’
Discussion about this post