এবারের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী কে, এই প্রশ্নের উত্তরে সিংহভাগ কার নাম বলবেন সেটা নিয়ে খুব একটা দ্বিমত হবেন না। এবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের মুখ রেখা পাত্রকে। সাধারণ গৃহবধূ রেখা এবারের লোকসভা নির্বাচনে সাড়া ভারতের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছেন। শুক্রবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে সকলের এখন উৎসাহ রেখা পাত্রর পড়াশোনা বা সম্পত্তির পরিমান জানার। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তিনি জমা করেছেন নির্বাচনী হলফনামা। তাতে তিনি সব তথ্যই রয়েছে।
বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সম্পত্তির হিসাব নিকাশ জানলে আপনি চমকে যাবেন। যেখানে অন্যান্য প্রার্থীদের সম্পত্তি কোটি কোটি টাকার, সেখানে রেখার সম্পত্তির পরিমান এতটাই নগন্য যে সেটা নিয়ে আলোচনা করাই লজ্জাজনক। অন্যদিকে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও বলার মতো কিছু নেই। রেখা ২০০৩ সালে সন্দেশখালির উত্তর বউঠাকুরানী ফ্রি প্রাইমারি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনি পাশ করেছেন। এরপর আর তাঁর পড়াশোনা করাই হয়নি।
অনেকেই এখন জানেন রেখা পাত্রর স্বামী একজন পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে তাঁর সম্পত্তির পরিমান যে খুব একটা বেশি হবে না সেটা বলাই বাহুল্য। নিজের হলফনামায় রেখা জানিয়েছেন, তিনি বা তাঁর স্বামী কোনওদিন আয়কর রিটার্ণ জমা করেননি। রেখা এবং তাঁর স্বামী সন্দীপ পাত্রর হাতে নগদ রয়েছে মাত্র ৩০০০ টাকা করে। রেখার দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, এরমধ্যে একটি আবার নির্বাচনী অ্যাকাউন্ট। এরমধ্যে স্টেট ব্যাঙ্কের অন্য অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৭৬৪ টাকা ৫৪ পয়সা। অন্যদিকে স্বামীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৪,৬৯২ টাকা। রেখা বা তাঁর স্বামীর কোনও ফিক্সড ডিপোজিট, জুয়েলারি ও গাড়ি নেই। পাশাপাশি নেই কোনও চাষের জমি বা বাসযোগ্য জমি। তাঁদের নামে কোনও ঋণও নেই। সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হল রেখাদের পরিবারে কোনও স্থাবর সম্পত্তিও নেই। রেখা হলফনামায় জানিয়েছেন, তিনি নিজে সাধারণ গৃহবধূ এবং তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রি বা পরিযায়ী শ্রমিক। প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই স্টিং ভিডিও নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রেখা পাত্রকে ঘিরে। তবে সবকিছুকে দূরে ঠেলে এখন নির্বাচনী প্রচারে গোটা বসিরহাট চষে বেরাতে চান বিজেপির তুরুপের তাস।
Discussion about this post