ভোট কেন্দ্রে মুড়ি ঘুগনি বিতরণ করে বিতর্কে জড়ালো কংগ্রেস – তৃনমূল। কান্দির আন্দুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসপাড়াতে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মুড়ি-ঘুগনি খাওয়াচ্ছিল কংগ্রেস, তৃণমূল বলে খবর। পরে কান্দি থানার পুলিশ গিয়ে তুলে দেয়। দেখা যায় পলিব্যাগের ভিতর ঠাসা রয়েছে সাদা মুড়ি। ওপর দিয়ে ছড়ানো হয় ঘুগনি। কোথাও আবার উপরি পাওনা চপ। গোটা কয়েক ফুলুরি। সঙ্গে শিশু থাকলে তার জন্যও বরাদ্দ থাকছে। বুথের সামনেই খাটিয়া-বেঞ্চ টেবিল পেতে ভোটারদের আপ্যায়নে ব্যস্ত ছিলেন কয়েকজন।
সোমবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কান্দি বিধানসভা এলাকাতেও পুলিশের সামনেই দেদার মুড়ি, ঘুগনি, চপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোটারদের। কোথাও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোথাও বা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেউ ভোট দেওয়ার আগে, আবার কেউ ভোট দেবার পরে টিফিন নিচ্ছেন। কোন পয়সা লাগছে না। আর মুড়ি খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন অনেকে। অনেকে আবার প্যাকেট হাতেই হন হন করে হাঁটা লাগাচ্ছেন বাড়ির দিকে । বুথের সামনে কয়েকজন ভোটারদের হাতে সাদা কাগজের কুপন দিচ্ছেন। প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, তাঁরা প্রত্যেকেই রাজনৈতিক দল করেন। তাঁদের দেওয়া সেই কুপন দিয়ে ভোটাররা টিফিন নিচ্ছেন।
এর আগে জলপাইগুড়িতে প্রথম দফা নির্বাচনে ভোটের পর জমিয়ে প্রাতঃরাশ ও মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল। সাত সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে বেরোলেই পাতে পড়ছিল গরমাগরম লুচি, কাবলিচানার রষা কারি, পনিরের মাখা মাখা তরকারি। মন খুশি করে ভোট দিলে হরেক রকম মিষ্টি দিতেও ভুলছিলেন না স্থানীয় তৃণমূলের কর্মকর্তারা। দুপুরের খাবারে ছিল গরম ভাত, ডাল, ডিমের কারি, শেষ পাতে চাটনি। এই ঘটনার পর আবারও চতুর্থ দফায় খাবারের আয়োজন রাজনৈতিক দলগুলি তরফ থেকে। বিরোধীদের দাবি, ভোটার টানতে থালা সাজিয়ে খাওয়াদাওয়ার অঢেল বন্দোবস্ত করছে কংগ্রেস-তৃণমূল।
Discussion about this post