মহম্মদ সেলিম সম্ভবত মুর্শিদাবাদ আসনটা বের করে নিচ্ছেন। দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে জয়ী হতে পারেন কংগ্রেসের ঈশা খান। জোটের পক্ষে তৃতীয় দফার ভোটে ইতিবাচক টেক আওয়ে বলতে এটাই। তৃণমূলের টিকিটে গতবারের বিজয়ী সাংসদ খলিলুর রহমান জঙ্গীপুর আসনটা ভোটের শেষে ধরে রাখার ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত। বিজেপির এই দফায় একমাত্র সান্তনা হতে পারে মালদাহ উত্তর আসন। যেখানে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু লড়ছেন তাঁর সাংসদ পদ এই কেন্দ্রে ধরে রাখবার জন্য। ৮০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট হয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও মালদার দু একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে রাজ্যে এই দফার ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ।যদি সেলিম এবং ইশা খান তাদের আসন সত্যি বার করে নিতে পারেন, তাহলে জোট রাজনীতি তথা বাম কংগ্রেস ২০২৬ এর আগে বঙ্গের রাজনীতিতে অনেকটা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।
দ্বিতীয়ত মুর্শিদাবাদের সেলিম যেভাবে প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেটা যাদবপুর দমদম শ্রীরামপুর আসানসোলে সিপিআইএমের কমরেডদের উদ্দীপিত করবে সন্দেহ নেই। মুর্শিদাবাদে আগামী লড়াই বহরমপুরে। যেখানে রাজ্যের কংগ্রেস সুপ্রিম ও অধীর চৌধুরীকে লড়তে হবে নিজের দুর্গ রক্ষাকরবার লড়াই। লড়াইতে চাপ আছে। তবে বহরমপুরের চালু প্রবাদ এবং চাপের মুখেই নাকি দাদা ভালো লড়েন। উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় একাধিক এলাকায়। এদিন সকাল থেকেই বোমাবাজি শুরু হয় রানিনগর এবং হরিহরপাড়ায়। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এদিন সকাল থেকেই পথে ছিলেন মহম্মদ সেলিম ।প্রথমেই তিনি খবর পান রানিনগনের ৩৪ নং বুথে সিপিএমের এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। মার খেয়ে ওই এজেন্ট কলাবাগানে লুকিয়ে পড়েন।
প্রথমে তিনি সেখানে যান। এর পরই গোপীনাথপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছন। কলার ধরে ভুয়ো এজেন্টকে টেনে বের করেন সেলিম। অবশেষে ওই ভুয়ো এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের লোচনপুরে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ সেখানে গিয়ে , বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেয় বলেই অভিযোগ। পালটা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সেলিমও। মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। মহম্মদ সেলিমের দাবি, লোচনপুরে বুথে অবৈধ জমায়েত করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ডোমকোল থানার বসন্তপুর স্কুলে ভোটারদের মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে তৃনমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে গুধিয়া হাই মাদ্রাসায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।অপরদিকে রানিনগরে এক তৃনমূল প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে বাম – কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
Discussion about this post