ষষ্ঠ দফার ভোটে অশান্ত কেশপুর। হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ। ভোটের সকালে কেশপুরে বিজেপি প্রার্থী হিরনের সঙ্গে পুলিশের গন্ডগোল বাঁধে। হিরনের দাবি, তাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক থেকে জাওয়ানরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে এখানে। বেলা ১২টা নাগাদ ঘাটাল লোকসভার কেশপুরের আনন্দপুর থানার খেড়িয়াবালি এলাকায় হিরণের গাড়ি আটকে বাঁশ লাঠি হাতে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী সমর্থক সহ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছেন, শুক্রবার রাতে হিরন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের পাঠিয়ে গ্রামবাসীদের উপর হামলা করিয়েছে। তাই এলাকায় হিরনকে ঢুকতে দেওয়া হবেনা। প্রায় ঘন্টা খানেক গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ আটকে থাকে হিরনের কনভয়।
এখানেই শেষ নয়। গো ব্যাক স্লোগানও শুনতে হল হিরণকে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চন্দ্রকোনা মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। হিরনের গাড়ির সামনে রাস্তায় গুড়ি ফেলে অবরোধ! এই ঘটনায় পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। অন্যদিকে, সকাল থেকেই বুথে বুথে পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন দেব। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিযোগ তোলেন, ভোটের আগের রাতে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলিয়েছিলেন হিরণ।অন্যদিকে, মেদিনীপুরে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হল বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলকেও।
মেদিনীপুর লোকসভার খড়গপুর গ্রামীণ বিধানসভার কিসমত আঙুয়া গ্রামে সকালে ভোট পরিদর্শনে অগ্নিমিত্রা বিশাল কনভয় নিয়ে প্রবেশ করলে পুলিশ সেই কনভয় আটকে দেয়। পরে গ্রামবাসীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়লেন অগ্নিমিত্রা। এছাড়াও, অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, তাঁদের বুথ এজেন্টকে অপহরণ করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগে সরব হন বিজেপি প্রার্থী। ভোট তো মিটলো। তবে, শেষ পর্যন্ত এই দুই কেন্দ্রে কোন পক্ষে রায় দেবে মানুষ, জানা যাবে ৪ জুন।
Discussion about this post