লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ বঙ্গ রাজনীতির আঙ্গিনায় যে জায়গার নাম বারবার উঠে এসেছে তা হল সন্দেশখালি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান এর দুর্নীতি সেখানকার বাসিন্দাদের একাধিক অভিযোগ পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ সবমিলিয়ে একেবারে কোনঠাসা পরিস্থিতিতে ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা বিশেষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক তোপ দেগে গিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে জনসভা হোক বা র্যালী সর্বত্রই উঠে এসেছে সন্দেশখালি ইস্যু। স্বাভাবিকভাবেই বসিরহাট কেন্দ্রকে নিয়ে যথেষ্ট চাপে ছিল শাসক অন্যদিকে অনেকটাই হয়তো অক্সিজেন পেয়েছিল বিরোধীরা।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে সামনে আনা হয়েছিল সন্দেশখালীর প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে। দাপিয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছে রেখাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখাচ্ছে একেবারে অন্য চিত্র। কয়েক লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে রেখাকে পিছনে ফেলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম। যার কারণে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের। সবুজ আবির্ মেখে উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গেল তাদের। বলতে সোনা গেল মহিলাদের সামনে এনে অনেক অপমানের জবাব এই নির্বাচন ফলাফল।
দলীয় পতাকা হাতে সবুজ আবিরে উল্লাসে মাতোয়ারা ছবি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন সন্দেশখালির সার্বিক পরিস্থিতির যে চিত্র বিরোধীরা তুলে ধরেছিলেন কোথাও গিয়ে কি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেল না?
Discussion about this post