দিলীপ ঘোষের হার বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। কারণ তার হার একজন প্রার্থীর হার নয়। সংগঠকেরও হার। দিলীপ ঘোষের জামানায় ১৮টা আসন জিতেছিল বঙ্গ বিজেপি। এখন সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারী বঙ্গ বিজেপি সংগঠনে সর্বে সর্বা। অথচ এবার টেনেটুনে ১২ সিট। এমনকি কোচবিহার, হুগলি, মেদিনীপুরের মতো জেতা সিটগুলিও খুইয়েছে বিজেপি। এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান, “আমি যেটুকু রাজনীতি বুঝি, দেশে বহুবার এরকম উত্থান পতন হয়েছে। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর বিজেপি ২ টো সিট পেয়েছিল।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো লোককে খারাপ ভাবে হারতে হয়েছিল। বাজপেয়ী সরকার চলে যাওয়ার আগে মমতার মাত্র ৮ টা সিট ছিল। উনি বাড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আমার কর্মী যারা তাদের এই উত্থান পতনকে সঙ্গী করেই এগোতে হবে। ২১ সালে ৩৮ শতাংশে ছেড়েছিলাম, তাই আছে। তবে আমরা এগোতে পারিনি ৩-৪ বছরে। এটা ভাবা দরকার। কেন আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি? যে গতিতে আমরা এগোচ্ছিলাম সারা দেশে তা আলোচনার বিষয় ছিল। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহও ছিল। তবে কোথাও না কোথাও ফাঁক থেকেছে। লড়াই সেভাবে হয়নি। সব কর্মীরা নামেননি। এটা নিয়ে চিন্তাভাবনার দরকার আছে। গতি যেন রুদ্ধ না হয়ে যায়।”
রাজনৈতিক মহলের মতে বঙ্গ বিজেপির অন্তরে ফাটল ধরেছে। নাম না করে দিলীপ বলেন, “ব্যক্তিগত রেষারেষির এবং ভুল পলিসির জন্য এইভাবে হাজার হাজার কর্মীর আত্মত্যাগ বিফলে চলে গেলে পরবর্তী কালে তাদের দলের কাজে লাগানো মুশকিল হয়ে যাবে। মানুষের পার্টির ওপর আস্থা চলে যাবে।” এখন প্রশ্ন হল সন্দেশখালির মত এত বড় জ্বলন্ত ইস্যু সামনে থাকলেও বসিরহাটে কীভাবে ধরাশায়ী বিজেপি? উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আন্দোলনটা রাজনৈতিক ছিল না। সাধারণ মানুষের আন্দোলন ছিল। পরে এটাকে বিজেপি টেক আপ করেছে। আমরা তাদের ন্যায় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কালও অত্যাচার হয়েছে। এরপর ওই মহিলারা ওখানে আর থাকতে পারবে কি না জানি না। এই আন্দোলন সারা দেশে নজির গড়েছিল। ওটা আমাদের পুরোনো গড়। ঘোরতর তৃণমূল জমানাতেও আমরা ওখানে ভালো ভোট পেতাম। কিন্তু আরও ভাল রেজাল্ট হবে ভেবেছিলাম। হয়নি।”
Discussion about this post