আবার উত্তপ্ত মনিপুর। হিংসার আগুন জ্বলছেই মণিপুরে। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে মণিপুরে হিংসা অব্যাহত। নির্বাচন চলাকালীনও দফায় দফায় অশান্তি, বিক্ষোভ। রবিবারও গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীর। এর আগে শুক্রবার কুকি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল দুই সিআরপিএফ জওয়ানের। এবার মৃত্যু হল কুকি জো সম্প্রদায়ের এক গ্রামরক্ষীর। সূত্রের খবর, রবিবার ভোর থেকে আবার গুলি বর্ষণ হতে থাকে লেইমাখোং-কাংচুপ এলাকায়। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা এসে আচমকাই গুলি চালায় কউব্রু হিল এলাকার গ্রামে বলে জানা যাচ্ছে। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় কুকি জো সম্প্রদায়ের এক গ্রামরক্ষীর। গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। অশান্তি এড়াতে ১২ ঘণ্টার জন্য গোটা এলাকার সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন ছিল দেশজুড়ে। এলাকায় কুকি জঙ্গিদের ডেরা রয়েছে বলে ‘মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স’ সূত্রে আগেই খবর পেয়েছিল যৌথবাহিনী। শুক্রবার গভীর রাত থেকে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনা এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। এই যুদ্ধে এনকাউন্টারে সিআরপিএফের দুজন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। সাথে আহত হন বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে, প্রথম দফার পর দ্বিতীয় দফাতেও একাধিক বুথে ভাঙচুর, বিক্ষোভ দেখিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সেই অশান্তির জেরে মণিপুরের একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় আউটার মণিপুরের ১৩টি বিধানসভা এলাকার ৮৪৮টি বুথে ভোট ছিল। অশান্তির পর কমিশনের নির্দেশ, মঙ্গলবার ৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন করাতে হবে। প্রথম দফায় ইনার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের ১১টি বুথের মধ্যে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছিল। তার জেরে গত সোমবার ১১টি বুথেই পুনর্নির্বাচন হয়েছে। এবার আউটার মণিপুরের বুথেও হবে পুনর্নির্বাচন। সব মিলিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মনিপুরে। আতঙ্কের মধ্যেই ভোটারদের ভোট দিতে যেতে হচ্ছে।
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে বিগত এগারো বছর ধরে তিনিই ভারতের সর্বেসর্বা। এই সময়কালে তিনি ভারতকে...
Read more
Discussion about this post