ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করার জন্য অনেকে গর্ব করে বলেন আমাদের ইউনূস সাহেব কোনও চাওয়ালা নন, বা কোনও নাট্য দলের অভিনেতা নন, তিনি নোবেল পাওয়া ব্যক্তি।তার ডাইরীতে সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপতিদের নাম্বার আছে, ভাবটা এরকম যেন একবার ফোন করলেই ব্যাস, কেল্লা ফতে…ও ভাইরে, প্রথমে বলি নোবেলটা পেলেন কিসে, জানেন। শান্তির জন্য, এর থেকে হাস্যকর আর কি আছে ভাই।উনি পৃথিবীর কোথায় কোন দেশে শান্তিদূত হিসাবে কাজ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এত যুদ্ধ হচ্ছে, উনি কি কোনও দেশের যু্দ্ধ থামাতে, যুদ্ধের মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। আর ওনার আহ্বানে যুদ্ধ থেমে গেছে।উনি তো জানেন সুদের ব্যবসা। যিনি সুদের টাকা আদায় করতে ছাগল হাঁস মুরগি জোর করে লোক দিয়ে তুলে নিয়ে আসেন, আর সেই তিনিই শান্তির নোবেল পেয়েছেন, ভাই রে ভাই-এর থেকে আর মজাদার গল্প কি আছে।
এর পিছনে যে গল্পটা আছে সেটা না জানাই ভালো, আপনাদের শুনে মন খারাপ হবে।শোনা যায় হিটলারও নাকি নোবেলের জন্য মনোনিত হয়েছিলেন। তবে সেটি শান্তির জন্য কিনা বলতে পারবো না।এর থেকেই বোঝা যায়, নোবেলটা আসলে কি। এর মাঝে বলে রাখি ভারতের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ভাষায় যিনি চা বিক্রেতা, তিনি কিন্তু ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যু্দ্ধ থামাতে, যুদ্ধ চলাকালীন দুই দেশেই গিয়েছেন শান্তির বার্তা নিয়ে।তিনি ভারতে থেকে যুদ্ধ থামানোর জন্য আহ্বান করেন নি। সবথেকে বড় কথা ভারতের প্রধনামন্ত্রী একমাত্র ব্যক্তি, যিনি যুদ্ধরত দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, এবং দুই রাষ্ট্রপ্রধানই তাকে আলিঙ্গন করেছেন, আর এই সব হয়েছে মাত্র দু-সপ্তাহের ব্যবধানে।অর্থাৎ দুই দেশেই তার গ্রহণযোগ্যতা কতটা তা এর থেকেই প্রমান হয়ে যায়।আর ইউনূস সাহেব রাজনীতির দিক থেকে- বৈদেশিক কূটনৈতিক অবস্থা কি বুঝবেন?
তিনি তো এই সবে বুঝতে শুরু করেছেন, দেশের পুলিশই হল আইন শৃঙ্খলা রক্ষার মূল কান্ডারী, যারা বাধ্য সরকারে আদেশ পালনে।তাদেরই ৫ই আগস্টের পর থানায় থানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, ছাড় দেওয়া হয়নি গর্ভবতী মহিলা পুলিশকর্মীদেরও । এখন উনি পুলিশের কাজ বুঝবেন, তার পর বুঝবেন সেনার কি কাজ। তার পর দেশ,তার পর বিদেশ, কিন্তু ওনার তো বয়স হয়েছে, এত সামলাবেন কি করে ।তাই নোবেল জয়ী ইউনূস যতদিন থাকবেন বাংলাদেশ ততই পিছনে যাবে। আর চাপ বাড়বে ভারতের উপর। খিলাফত আন্দোলনের নামে অমুসলিমদের উপর অত্যাচার হবে, আর বাংলাদেশ ছেড়ে মানুষ বাধ্য হবে ভারতে আসতে। কিন্তু পাকিস্তান আর চিন বাদে অন্য কোন দেশ কি ইউনূসের কুমিরের কান্না শুনবেন। তা শুনবেন না বলেই তুলসী গ্যাভার্ড বাংলাদেশ নিয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন যার কারণে চাপ বাড়ছে সেনাপ্রধানের উপর। কারণ ইউনূস বিদেশ বলতে চেনেন, চীন আর পাকিস্তান। আগে আমেরিকা চিনতেন কিন্তু ট্রাম্প এসে সব গন্ডোগোল করে দিয়েছেন।
Discussion about this post