এক মাসে 12 লাখেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছে মেট্রোরেলে।শুধু শহর কলকাতাই নয় শহরতলির যাত্রীরাও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পাতালপথ ই বেছে নিয়েছেন। শহরে এখন গঙ্গার নিচে দিয়েও চলছে মেট্রো।15 ই মার্চ থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছে।আর 15 ই মার্চ থেকে 14 ই এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসে যাত্রী সংখ্যা কত জানেন?
12 লাখ 14 হাজার!এই হিসেব দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আসলে মেট্রো পথে জুড়ে গিয়েছে কলকাতা ও হাওড়া।গঙ্গার এপারে এসপ্ল্যানেড স্টেশন, আর ওপারে হাওড়া ময়দান।15ই মার্চ থেকে যাত্রী পরিষেবা চালু হয়েছে ‘গ্রিন লাইনে’। কলকাতা মেট্রো তরফে এক বিবৃতি জানানো হয়েছে, 15ই মার্চ থেকে 14ই এপ্রিল পর্যন্ত গঙ্গার নিচে মেট্রোয় যাতায়াত করেছেন ১২ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ! অপরদিকে একই সময়ে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ রুটে যাত্রী সংখ্যা 1 কোটি 52 লক্ষ। কলকাতা তো বটেই, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ শহরতলী যাত্রীরাও দ্রুত গন্তব্য পৌঁছতে বেছে নিয়েছেন পাতালপথ।যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই রুটে আরও বেশি টিকিট কাউন্টার,স্মার্ট কার্ড, টোকেন-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ,সেখানে বদলে যাচ্ছে ট্রেনের সময়।এই রুটে এবার শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর দিকে প্রথম ট্রেনটি চলবে সকাল 6 টা 55 মিনিটে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদার দিকে প্রথম মেট্রো চলবে সকাল 7 টা 5 মিনিটে।এর আগে শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে 20 মিনিট অন্তর মেট্রো পাওয়া যেত, এখন সেখানে এবার 17 মিনিট পরপর ই মেট্রো পাওয়া যাবে। আর সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার ক্ষেত্রে 18 মিনিট অন্তর মেট্রো পাবেন যাত্রীরা।
শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে রাতের দিকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত 9 টা 35 মিনিটে এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদার দিকে রাতে শেষ মেট্রো মিলবে রাত 9 টা 40 মিনিটে।
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হয় নিত্যযাত্রীদের,দীর্ঘক্ষণ জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকলে পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়।এছাড়া ধকল ও কম হয়না।মেট্রো রেলের সুবাদে অনেকটা স্বস্তিতে যাতায়াত করেন নিত্যযাত্রীরা।কোনো ধকল ছড়াই ঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছান যায়।
Discussion about this post