দুপুর ১২, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রামনবমীর দিন রঘুবীরের কপালে তিলক আঁকলেন স্বয়ং সূর্যদেব। যা স্থায়ী ছিল ঠিক ৪ মিনিট। সূর্যদেবের রশ্মি রঘুবীরের ললাটে পড়তেই মন্দিরের গর্ভগৃহের চারিদিক ভরে উঠেছিল আলোর রোশনাইয়ে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যেন গোটা ভারতবাসীর কাছে এনে দিয়েছিল আলাদা একটা অনুভূতি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও রাজ্য তথা দেশ জুড়ে রামনবমী পালিত হলেও ২০২৪ এর রামনবমী যেন আলাদা মাত্রা এনেছে দেশবাসীর কাছে। আনবে নাই বা কেন ? দীর্ঘ ৫০০ বছর অপেক্ষার পর আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে জানুয়ারীর ২২ তারিখ প্রাণ ফিরে পায় উত্তর প্রদেশের রাম জন্মভূমি অযোধ্যা। এদিন সেই ভূমিতেই অতি সমারোহে পালিত হল রামনবমী। রঘুবীরের ললাটে সূর্যতিলক আঁকার নেপথ্যে রয়েছে আইআইটি রুকবির বিজ্ঞানীদের একটি বিশেষ অপটো মেকানিক্যাল সিস্টেম। যারা এই কাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু কীভাবেই বা সম্ভব হল এই কর্মকান্ড।
জানা যায়, রামলালার কপালে যখন সূর্য তিলক দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ভারতবাসী। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষি থাকতে আগে থেকেই অযোধ্যা রাম মন্দিরের উপরের তলায় বসানো হয় একটি কাঁচের আয়না। এই আয়নার উপর সূর্যের আলো পড়লে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রিতে একটি পিতলের নলের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে সরাসরি পড়বে রামলালার হীরেখচিত তিলকে। একইসঙ্গে নলের অপর প্রান্তেও বসানো হয় আর একটি আয়না। বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই আয়না ব্যবহার করেই রঘুবীরের ললাটে তিলক আঁকলেন স্বয়ং সূর্যদেব।
রামনবমী উপলক্ষ্যে অযোধ্যার গোটা মন্দিরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দেশি ও বিদেশি ফুলের সমন্বয়। রামলালার ললাটের সূর্য তিলকের এই বিশেষ মুহুর্তের সাক্ষি থাকতে ভক্তদের জন্য বসানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন। শুধু তাই নয়, তীব্র দাবদাহের হাত থেকে ভক্তদের রক্ষা করতে ৬০০ মিটার দীর্ঘ চাঁদোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য পানীয় জলও ওআরএসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে রামমন্দির ট্রাস্ট্রের তরফে।।
আর জি কর আন্দোলনের আগুন যখন প্রায় নিবে গিয়েছে, তখন চাকরি বাতিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলনের...
Read more
Discussion about this post