গরমে নাজেহাল অবস্থা দুই বাংলারই। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে।শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং টাঙ্গাইলে ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আগামী আরো তিনদিন এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহওয়া দফতর। এই কারণে সেখানে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে বাংলাদেশবাসী।গরমে দেখা দিচ্ছে নানারকম সমস্যা।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঋতুবৈচিত্র্যে ছন্দপতন হচ্ছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে বাংলাদেশ।যে ভাবে প্রতি বছর সেখানে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান,চলতি শতাব্দীতেই বিশ্বজুড়ে গড় তাপমাত্রা ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
বছরের এই সময়টাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি স্বাভাবিক।কিন্ত এখনকার গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত।শহর থেকে গ্রামাঞল সর্বত্রই একই পরিস্থিতি।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিরিক্ত গরমে আমের মুকুলও ঝড়ে যাচ্ছে বলে জানান আম ব্যবসায়ীরা। এর ফলে কালবৈশাখীর সময়কাল বদলে যেতে পারে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে জানান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত।
কিন্তু হঠাৎ কেনো এত গরম পড়ল?
আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান আবহাওয়াবিদ শামীম হাসান ভূইয়া বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ এবং ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বনের কারণে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করার জন্য এটা একটা বড় ব্যাপার। বিশ্বজুড়েই উষ্ণতা বাড়ছে। একদিকে যেমন শীতের সময়কাল কমে আসছে অন্যদিকে তেমনই দীর্ঘ হচ্ছে গ্রীষ্ম ও তীব্র হচ্ছে গরম। গ্রিন হাউস গ্যাসের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং এর ক্ষতিকর ফল ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।’
গরম থেকে রক্ষা পেতে সবুজায়নের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, গত তিন দশকে শুধু ঢাকা উত্তরে সবুজ এলাকা কমেছে ৬৬ শতাংশ। ওই অঞ্চলে রাস্তার ধারে, ফাঁকা জমিতে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা চিফ হিট অফিসার আরফিন বুশরা। এই কাজে কীভাবে মহিলাদের কাজে লাগানো যায় তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলেই আজ এই পরিস্থিতি।সমস্যার সমাধান একমাত্র পর্যাপ্ত পরিমান গাছ লাগানো।তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এটাই একমাত্র উপায়।
Discussion about this post