আমেদাবাদে বুধবারই রাজস্থান রয়্যালসের কাছে চার উইকেট হেরে এবারের মতো আইপিএল স্বপ্ন শেষ বেঙ্গালুরুর ।লাকি ফার্গুশনের ১৯ তম ওভারে পাওয়েলের পর পর দুটো বাউন্ডারিই লিখে দিল ম্যাচের ফলাফল ।তার ওভারের শেষ বলে, পাওয়েলের বিশাল ছক্কায় ম্যাচ জিতল রাজস্থান ।ম্যাচ শেষে বিরাটকেই সবচেয়ে হতাশ দেখাচ্ছিল। টানা ছয় ম্যাচ জিতে আইপিএল প্লে অফে উঠে উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন বিরাট কোহলিরা কিন্তু সেই উল্লাস যন্ত্রণায় বদলে গেল মাত্র চার দিনেই। এবারের আইপিএল দেখেছে চার ছক্কার ধুম ধারাক্কা খুন খারাপি ব্যাটিং ।
কিন্তু বুধবার রাতে আমেদাবাদে বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ৮ উইকেটে তুলেছিল ১৭২ রান । রাজস্থানের মত সলিড ব্যাটিং লাইন অ্যাপের সামনে এই রান যথেষ্ট ছিল না। জবাবে ভালো শুরু করেছিলেন রাজস্থানে যশস্বী জয়সওয়াল ৪৫রান, হেটমেয়ারকে ২৬ রান, সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজ এগিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ান পরাগ ৩৬ রান । কফিনের শেষ পেরেক পাওয়েলের। ১৭ বছরের আইপিএল ট্রফি জেতা হল না বিরাট কোহলির। তিনবার ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল।
এবার টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে অফে এলেও কাজটা খুব কঠিন ছিল। সামনে ছিল রাজস্থানের মত টিম। যাদের একাধিক ব্যাটার যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দেন। সেখানে আরসিবির সর্বোচ্চ রান ৩৪ যা এল রজত পতিদরের ব্যাট থেকে । তার পরের রান অবশ্যই বিরাটের ।ওপেন করতে নেমে ২৪ বলে করে গেলেন ৩৩ রান, তিনটি চার ও একটি ছয়ের সঙ্গে। সেই সঙ্গে আইপিএলে নিজের আট হাজার রান পূর্ণ করলেন। টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসং। বৃষ্টি হওয়ায় উইকেটের চরিত্র স্পষ্ট ছিল না। সেই পরিকল্পনায় অনেকটাই সফল সঞ্জুরা। বিরাটদের ১৭২ রানে আটকে রাখার কৃতিত্ব অবশ্যই রাজস্থান বোলারদের। বিশেষ করে আবেশ খান তিনি ৪৪ রানের চাকরি উইকেট নিয়েছেন তবে আসল কাজটা করে দিয়েছিলেন বিরাটকে ফিরিয়ে দিয়ে চাহাল। রবিচন্দ্র আশ্বিন আউট করেন ক্যামরেন গ্রীন ও ম্যাক্সওয়েলকে। অলরাউন্ড পারফরমেন্সেই জয়ী রাজস্থান।
Discussion about this post