দক্ষিণ ২৪ পরগনা : সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যয় মোকাবিলার নামে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ৩৫ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নামখানা পঞ্চায়েতে এই বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয় নিয়ে ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় বিডিওকে অভিযোগ জানিয়েছেন নামখানার শিবরামপুরের বাসিন্দা স্নেহাশিষ গিরি নামের এক ব্যক্তি। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান অজিত গিরি।
২০২১ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ঘূর্ণিঝড়ের পর বিপর্যয় মোকাবিলার নামে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত নামখানা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। নামখানা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান অজিত গিরির বিরুদ্ধে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। নামখানার শিবরামপুরের বাসিন্দা স্নেহাশিষ গিরির অভিযোগ, নিয়মবহির্ভূতভাবে কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ইয়াস ঝড়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, পরবর্তীতে নকল বিল ও ভাউচার তৈরী করে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইতও। এই বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানান নামখানার বিডিও অমিত সাহু। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের গাইডলাইন মেনে কাজ হয়েছে কি না অভিযোগ পেলে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় টাকা খরচের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নামখানা পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান অজিত গিরি। তাঁর দাবি, সরকারি নির্দেশ মেনে টাকা খরচ করা হয়েছে। টাকা খরচে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন স্নেহাশিষ গিরি। ভোটের মাঝে এই বিষয়ে তদন্ত কোন পথে এগোয়, এখন সেটাই দেখার।
Discussion about this post