এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এবারও তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায় শোনা গেল তুই তোকারির শব্দবাণ। হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলায় রাজ্যের বড় ধাক্কা। শুনানির প্রথম দিনেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সহ তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ। পুরোটাই জালিয়াতি। শুনানি চলাকালীন বলেলেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন : আপনার জন্যই প্যানেল বাতিল হচ্ছে বিকাশ রঞ্জন কে ঘিরে বিক্ষোভ আদালত চত্বরে
পাশাপাশি ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার পর কি ভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হবে প্রশ্ন উঠেছে শীর্ষ আদালতে। মোট কথা শুনানির প্রথম দিনে হালে পানি পাইনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ঠিক একসপ্তাহ আগে ২০১৬ র পুরো প্যানেলটাই বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। তৃণমূল নেতাদের অনেকেই দাবি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চিতভাবে রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেবে। কিন্তু তা হয়নি। হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অব্যাহত রেখে সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে কেবল মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এতো গেল কোর্ট কাছারির কথা। রায় স্থগিত হোক বা না হোক জঙ্গীপুরের জনসভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করলেন। তুই তোকারি করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি নিজের টাকা বাঁচাতেই ভাজপা মেশিনে ঢুকেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
যারা চাকরি কিনেছেন তারা তৃণমূল নেতা নেত্রীদের আত্মীয়। আগে থেকে যদি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা কোর্টে জমা পড়ত তাহলে আজ এত জনের চাকি যেত না। দাবি বিরোধী দলনেতার। শুধু বিজেপি নয়, অনান্য রাজনৈতিক দলের মুখেও আগে এমন দাবি উঠে এসেছে। চাকরির কোটা বিক্রি করে এমএলএ ও এমপি কিনেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের দাবি বাইরে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখালেও আদতে উল্টো খেলা খেলছে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। এদিন কোর্ট চত্বরে চাকরিহারাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এদিকে রাজনীতির হাক ডাকের মাঝে মুক্তির প্রহর গুণছেন চাকরিহারারা। কেন অযোগ্যদের জন্য তারা বিধ্বস্ত হবেন। কেন তাঁদের সামাজিক সম্মানহানি হবে। প্রশ্নটা তুলছেন
Discussion about this post